ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’রর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টির বৈরি আবহাওয়ার পর অবশেষে ঝালকাঠি জেলা শহরে ৩৩ ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল শনিবার বিকেল ৫টার পর সরবরাহ শুরু হয়। ফলে ৩৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ঝালকাঠি।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাস্টার শফিকুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ পড়ে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। ওজোপাডিকোর সঙ্গে আমারা ভাঙা গাছে কেটে অপসারণ করি। লাইনের ওপর থেকে বড় বড় গাছ অপসারণ করতে অনেক সময় লেগে যায়।
এদিকে এ দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম দূরাবস্থার মধ্যে পড়ন সবাই। দুই দিন বন্ধ হয়ে যায় পৌর শহরের পানি সরবারহ। মোবাইল ফোনে চার্জ করা থেকে ইলেকট্রনিকস পণ্য-সামগ্রী ব্যবহার বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ রাখতে হয়।
বন্ধ ছিলো কলকারখানা ও অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মাছের আড়তসহ বাসা বাড়িতে ফ্রিজে থাকা মাছ মাংস নষ্ট হয়।
শহরের পৌর খেয়াঘাট এলাকার গৃহিনী রোকেয়া বেগম বলেন, আমার ফিজ্রের মাছ, মাংস-সবজি সবই নষ্ট হয়ে গেছে। মাসের বাকি দিনগুলো চলতে বেশ বেগ পেতে হবে, বলেন তিনি।
শহীদ স্মরণি এলাকার নিরব হোসেন বলেন, মোমবাতি জ্বালিয়ে দুদিন কোনো রকম জীবনযাপন করেছি। বেসরকারি মোবাইল কোম্পানির টাওয়ারগুলোতে জেনারেটর ব্যবস্থা না থাকার কারণে ইন্টানেটও বন্ধ ছিল। ফলো সবরকম যোগযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম দূর্ভোগ কাটিয়েছি।
ঝালকাঠির ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহিম সাংবাদিকদের বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জাতীয় গ্রিডের সঞ্চালন লাইনে ব্যপক গাছ পড়ে । এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিঁড়ে গিয়েছিল। এতে শহরসহ পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আজ বিকেল পাঁচটার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা গেছে।