বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ দ্বিতীয় স্থানে রাজধানী ঢাকা। রোববার সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ছিল ২৪৫। যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বায়ু দূষণের এ তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লী, স্কোর ৪৩২। ২৪২ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২২৩। পঞ্চম স্থানে রয়েছে চীনের সিনায়াং, স্কোর ১৮৩।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। এ স্কোরকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।
বায়ুদূষণ বেশি হলে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন সংবেদনশীল গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা। তাদের মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভোগা ব্যক্তিরা। তাদের বিষয়ে বিশেষ যত্নবান হওয়া দরকার বলে পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
ঢাকায় গত জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। জানুয়ারির মোট ৯ দিন রাজধানীর বাতাসের মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
চলতি ডিসেম্বরে ঢাকার বায়ু বেশির ভাগ দিনই ছিল অস্বাস্থ্যকর। এর মধ্যে গত শুক্রবার ঢাকার বায়ুদূষণ ছিল এ বছরের সর্বোচ্চ।