সারা দেশের মতো নতুন বছরের প্রথম দিনে শেরপুরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একযোগে শুরু হয় বই উৎসব। এরই অংশ হিসেবে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম।
এরপর তিনি শেরপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজিব উল আহসান, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বছরের প্রথম দিন বই উৎসবে শেরপুরের প্রায় ৪ লাখ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছেছে। নতুন বছর, নতুন ক্লাস। সেইসঙ্গে নতুন বইয়ের ঘ্রাণে উচ্ছ্বসিত শেরপুরের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সময়মতো শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে পেরে সন্তুষ্ট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। প্রাক-প্রাথমিক থেকে শুরু করে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই নতুন বই হাতে পাচ্ছেন। বছরের প্রথম দিন নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও।
শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১ হাজার ৫৬১ বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৫৬ শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছেছে বছরের প্রথম দিন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, এ বছর প্রাথমিকের কোনো বই ঘাটতি নেই। প্রথম দিনই আমরা সব শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছাতে পেরেছি। একই সঙ্গে ইংরেজি ভারসন ও নৃ-গোষ্ঠীর নিজ ভাষায় চাহিদা মোতাবেক বই পৌঁছে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের হাতে।
এদিকে জেলার ১৮১টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ২২ লাখ বইয়ের চাহিদা পাঠানো হয়েছিলো। তবে চাহিদা থাকলেও ৬ লাখ বই ঘাটতি রয়েছে মাধ্যমিকে। নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে এখনো সব বই পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়নি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান বলেন, ২২ লাখের চাহিদার মধ্যে ১৬ লাখের কিছু বেশি বই এসে পৌঁছেছে। চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি উপজেলায় বই পাঠানো হচ্ছে। খুব দ্রুত চাহিদা অনুযায়ী বই পৌঁছানো সম্ভব হবে।