ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন, ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনসহ আওয়ামী লীগের ৯৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দ্রুতবিচার আইনে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলায় আরো অজ্ঞাত ২০০-৩০০ জন অস্ত্রধারীকে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার দুপুরে ফরিদপুর দ্রুতবিচার আদালতে মামলাটি করেন ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সিকদার সাঈদুর রহমান মিঠু। এর আগে নিক্সন চৌধুরীসহ ১১০ জনের নামে ভাঙ্গা থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। এনিয়ে ভাঙ্গায় তার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দাঁড়াল দুটি।
দ্রুতবিচার আইনে মামলার বাদী সিকদার সাঈদুর রহমান মিঠু এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ৩ আগস্ট সকাল ১০টার সময় ভাঙ্গা বিশ্বরোড গোলচত্বর রাস্তার উপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে নিক্সন চৌধুরী, শাহাদাৎ হোসেনসহ এক থেকে দশ নম্বর আসামির নির্দেশে অজ্ঞাত আসামিরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে হামলায় অংশ নেন। আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের উপর ককটেল, হাতবোমা, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা উপর ১০ নম্বর আসামি ভাঙ্গা থানার ওসি মামুন ও তার সহযোগীরা প্রায় ১০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে।
এতে মামলার বাদীসহ ঘটনাস্থলে অনেক ছাত্র-জনতা ও পথচারী আহত হন। এসময় বাদীর মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। তখন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উপর আসামিদের ছোড়া ইট-পাটকল ও ককটেল বিস্ফোরণে অনেকে আহত হন। আহতরা ভাঙ্গা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করায় মামলাটি করতে বিলম্ব হয়েছে বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেন।
এবিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোকছেদ হোসেন জানান, দ্রুতবিচার আইনে একটা মামলার খবর পেয়েছি। তবে মামলাটি আদালত পিবিআইকে তদন্ত করতে দিয়েছেন।