রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১১ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা যানজট নিরসন কমিটি। শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন কমিটির সভাপতি ইছহাক দুলাল।
প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে:-
ঢাকা শহরের ভেতরে ও চারপাশে যেসব খাল রয়েছে, সেগুলো সংস্কার করে নৌপথ সচল করা; চারপাশের নদীঘেঁষে ট্রাম রোড বা সংক্ষিপ্ত রেলপথ তৈরি এবং ওই রেলপথ ঘেঁষে চক্রাকার সড়ক নির্মাণ।
ঢাকায় সড়ক, রেল ও নৌপথকেন্দ্রিক সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা তৈরি করা। ফলে শহরের ভেতর যানবাহন ও মানুষের চাপ কমবে। আবার বিভিন্ন বিভাগীয় বা আন্তজেলা বাস কিংবা অন্যান্য পরিবহন ওই চক্রাকার সড়ক দিয়ে বাইপাস করে চলে যেতে পারবে।
যানজট নিরসনে অন্যান্য প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে ঢাকার অভ্যন্তরে থাকা বাস টার্মিনালগুলোর স্থানান্তর, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে টঙ্গী পর্যন্ত রেললাইন উড়ালপথে করা অথবা প্রতিটি রেলক্রসিং বাইপাস করে দেয়া। কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর দুটি অঞ্চলে ভাগ করে কারাগার ও আদালত ভবন এক জায়গায় করা, ঢাকা থেকে অন্তত ১০০ কিলোমিটার দূরের গন্তব্যের বিভিন্ন জেলায় রেলপথ চালু করা।
এছাড়া ঢাকার ভেতরের ফুটপাত ও সড়কগুলো হকার এবং ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দখলমুক্ত করা, ট্রাফিক পুলিশ ও যানবাহনের চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ট্রাফিক–ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো, নগর পরিবহন চালু করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।ৎ
জাতীয় স্বার্থে সিএনজিচালিত অটোরিকশা বাদে ব্যক্তিগত যানবাহনে গ্যাস সরবরাহ করার পরিবর্তে উৎপাদন খাতে তা সরবরাহের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে সংবাদ সম্মেলনে।
ঢাকা যানজট নিরসন কমিটির সভাপতি বলেন, এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নযোগ্য, প্রয়োজন সদিচ্ছার। এগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। প্রয়োজনে ঢাকার যানজট নিরসন কমিটির সদস্যরা এ কাজে সরকারকে সহায়তা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে কমিটির প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে কমিটির উপদেষ্টা জহরুল ইসলাম, জালাল উদ্দিন আহমেদ, এস এম সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক তারেক হোসেন উপস্থিত ছিলেন।