কুড়িগ্রামের চিলমারীতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে যান চলাসহ প্রায় প্রতিদিনই পারাপার করছেন হাজারো মানুষ।
জানা গাছে, উপজেলার রাণিগঞ্জ ইউনিয়নের বুড়িতিস্তা নদীর ওপর নির্মিত রাজারঘাট যেনো মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ডিসি-৫০ রোডে ৭০ মিটার সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ভয়াবহ বন্যায় এর গাইড ওয়াল ভেঙে দুই পাশের মাটি সরে গিয়ে গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সংযোগ সড়কে মাটি ফেলে কোনো রকম চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়। গত পাঁচ বছর ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীসহ হালকা-ভারী যানবাহন। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। থানাহাট ইউনিয়নের ব্যাপারি পাড়া এলাকার অটোরিকশা চালক আমিন মিয়া বলেন, সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন একাধিকবার অটোরিকশা নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু দুই দিকে গভীর গর্ত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। চিন্তায় থাকতে হয় কখন জানি কোন দুর্ঘটনা ঘটে।
রাণিগঞ্জ ইউনিয়নেরর ফকিরের হাট এলাকা থেকে আসা পথচারী আব্দুল জলিল মিয়া বলেন, চোখের সামনে অনেকগুলো দুর্ঘটনা দেখেছি। রাতের আঁধারে অনেক সাইকেল-রিকশাসহ গর্তে পড়ে যায়। কবে যে কার মৃত্যু হবে এখানে সেটা বলা যাচ্ছে না।
উপজেলা স্থানীয় সরকারের (এলজিইডি) বিভাগের প্রকৌশলী ফিরোজুর রহমান জানান, সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। দুই দিকে কয়েকবার মাটি ভরাট করা হয়েছিলো। কিন্তু বুড়িতিস্তা নদীর স্রোত থাকায় সেটি টেকসই হয়নি। দ্রুত সেখানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হবে।