ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ চরমোনাই মাহফিল

দেশবার্তা

আমাদের বার্তা, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৫:৩৬, ৩০ নভেম্বর ২০২৪

সর্বশেষ

আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ চরমোনাই মাহফিল

লাখো মুসল্লির মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ঐতিহাসিক চরমোনাই দরবারের তিন দিনব্যাপী মাহফিল। বুধবার (২৭ নভেম্বর) বাদ জোহর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)-এর উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হয়ে শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে সমাপনী অধিবেশন ও আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় লাখো মুসল্লীদের এ মিলন মেলা।

শনিবার সকাল আটটার দিকে এই মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম। 

আখেরি বয়ানের পর পীর সাহেব চরমোনাই বিভিন্ন লিখিত প্রশ্নের উত্তর দেন। এসময় তিনি মুরিদানদের সঠিক পথে পরিচালিত হবার বিভিন্ন পরামর্শ দেন। 

এর আগে বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, ‘মানুষ আজ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে অহরহ। অথচ একজন মানুষ কবরে গিয়ে মাফ না পাওয়া পর্যন্ত নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মত মনে করতে হবে। সুতরাং তাক্বওয়া বা আল্লাহর ভয় অর্জনের মাধ্যমে মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে। আল্লাহর ভয় যার অন্তরে নেই ঐ মানুষ এমনকি আলেম, মুফতী ও পীরের কোনো মূল্য নেই।’

মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, নিজেকে নিজে ছোট মনে করতে হবে। আমিত্ব ভাব ও তাকাব্বুরী পরিত্যাগ করতে হবে। হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করতে হবে। ঘোড়ার মুখে যেভাবে লাগাম থাকে সেভাবে রাগের মুখে লাগাম লাগাতে হবে। সকাল-সন্ধ্যা জিকিরের মাধ্যমে ক্বলব পরিশুদ্ধ করতে হবে। গীবতের মতো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। সাপ্তাহিক হালকায়ে জিকির ও তালীমে নিয়মিত অংশ নিতে হবে। ছহীহ শুদ্ধভাবে কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে।’

সমাপনী অধিবেশনের বয়ানে চরমোনাই পীর মাহফিল বাস্তবায়নে সম্পৃক্ত সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেয়া প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ওলামায়ে কেরাম এবং গণমাধ্যমকর্মীদের মোবারকবাদ জানান তিনি।

আখেরি মোনাজাতে ফিলিস্তিন, ভারত, কাশ্মীর, মিয়ানমার, সিরিয়াসহ বিশ্বের নির্যাতিত মুসলমানদের নিরাপত্তা ও সমগ্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনা করা হয়।

উল্লেখ্য, মাহফিলে আসা মুসল্লীদের মধ্যে বুধবার  রাত ১১টায় খুলনার মো. আলতাফ হোসেন এবং একই দিন রাত ১০টায় ঢাকার রফিকুল ইসলাম (৬৩) বার্ধক্যজনিত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মাহফিলে তাদের জানাজার নামাজ শেষে অ্যাম্বুলেন্সে করে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এবারের মাহফিলে চার জন অমুসলিম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

জনপ্রিয়