মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে তরুণী শাহিদা আক্তারকে (২৪) হত্যার ঘটনায় প্রেমিক তৌহিদকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে নিহতের মা জরিনা বেগম বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় এ মামলাটি করেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, মামলার প্রধান আসামি তৌহিদকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে। তবে এখনো গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে খুব শিগগিরই তৌহিদকে আইনের আওতায় আনা হবে।
নিহত শাহিদা আক্তার রাজধানীর ওয়ারী এলাকায় থাকতেন এবং অভিযুক্ত তৌহিদও একই এলাকার বাসিন্দা।
মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মোহাম্মদ ফিরোজ কবির জানান, নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
শনিবার ভোরে শ্রীনগরের এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস লেনে শাহিদা আক্তারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তরুণীর লাশ এক্সপ্রেসওয়েতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিল না। এর পর আইফোন থেকে সিম কার্ড খুলে পরিবারের সদস্যদের ফোন করলে বিষয়টি খোলাসা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ভোরে ওই তরুণীকে এক যুবকের সঙ্গে মহাসড়কে হাঁটতে দেখা গেছে। এর এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর তরুণীর গুলিবিদ্ধ লাশ মহাসড়কে পড়ে থাকতে দেখতে পান পথচারীরা। তরুণীর সঙ্গে থাকা ওই যুবককে স্থানীয়রা চিনতে পারেননি। তার সঙ্গে আরো কেউ ছিল কিনা, তাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ পুলিশকে জানান, এক যুবককে শ্রীনগরের সার্ভিস লেনে দৌড়াতে দেখা গেছে। তার পেছনে পেছনে এক তরুণী দৌড়াচ্ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীনগর থানার ওসি বলেন, হয়তো ওই যুবকের সঙ্গে তরুণীর কোনো বিষয়ে তর্কাতর্কি হয়। এর পর তরুণী তাকে চাপ দেন। এক পর্যায়ে দৌড়ে পালাতে চেয়েছে যুবক।গ্রেফতার হওয়ার আগে সন্দেহাতীতভাবে কিছু বলা যাবে না।