চট্টগ্রামে পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেফতার ১২ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত চিফ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
১২ আসামি হলেন জয় নাথ, রুমিত দাস, নয়ন দাস, গগন দাস, সুমিত দাস, আমান দাস, বিশাল দাস, সনু মেথর, সুমন দাস, রাজেশ দাস, দুর্লভ দাস ও অজয় সূত্রধর চৌধুরী। এর আগে গত সোমবার পুলিশের ওপর হামলার আরেক মামলায় আট আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ২ মামলায় ১২ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মফিজুর রহমান আরো বলেন, এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।
এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও চারটি মামলা হয়। পাঁচ মামলায় গ্রেফতার হন ৩৯ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ৯ জন গ্রেফতার রয়েছেন।
গত সোমবার পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেফতার দুই আসামির জন্য ওকালতনামা দিলে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি নেজাম উদ্দিন।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগ্রহ করা ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রণব। তাঁকে পেটাতে থাকেন অন্যরা। সেখানে আরও ছিলেন ২৫-৩০ জন। তাঁদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী।