সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে কারাগারে নেয়ার সময় চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের উপর হামলার ঘটনার মামলায় ৮ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আসামিদেরকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে হাজির করা হয়।
আসামিরা হলেন- সুমন দাস, সাকিবুল আলম, আহমদ হোসেন, সুজন চন্দ্র দাশ, ইমন চক্রবর্তী, রূপন দাশ, মো. রাকিব ও সৌরভ দাশ।
এর আগে পুলিশের ওপর হামলার আরেকটি মামলায় অন্য ৮ আসামিকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত।
মহানগর আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, পুলিশের উপর হামলার একটি মামলায় ৮ আসামির ৭ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে প্রত্যেক আসামির ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের এ মামলায় জামিন নাকচ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক কাজী শরীফুল ইসলাম।
ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।
বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবীকে হত্যা করা হয়।
সেদিনের ঘটনায় তিন স্থানে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে তিনটি মামলা করে পুলিশ।
ওই তিন মামলায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো মোট ১৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ জনকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।