বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার যোগে তাকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) আনা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর ভেরিফাই ফেসবুক পেজে জানানো হয়, গত ০৭ ডিসেম্বর শহীদ আবু সাঈদের বাবা জ্বর এবং পেটের পীড়া নিয়ে রংপুর সিএমএইচে ভর্তি হন। পরে তাকে ১০ ডিসেম্বর বিকেল ৩ ঘটিকায় হৃদযন্ত্রের উন্নত চিকিৎসার জন্য আর্মি অ্যাম্বুলেন্স যোগে রংপুর মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউ-তে স্থানান্তর করা হয়।
সেখান থেকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য শহীদ আবু সাঈদের বাবাকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আর্মি হেলিকপ্টার যোগে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেন জানান, তাঁর বাবা মকবুল হোসেন তিন দিন আগে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রংপুরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন। সেখানে গত সোমবার রাতে তিনি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত (স্ট্রোক) রোগে আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাঁর বাবাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান বলেন, মকবুল হোসেনের হৃদ্যন্ত্র, কিডনিসহ নানা জটিলতা দেখা দিয়েছে।
আবু সাঈদের বাবার অসুস্থতার খবর শুনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শওকাত আলী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গত ১৬ জুলাই গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ। তাঁর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোচ্চার হন অনেক মানুষ, এতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন।