মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে রোববার সকালে চারটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সব দুর্ঘটনায় ১০ গাড়ির সংঘর্ষ হয়েছে। এতে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এ সব দুর্ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘন কুয়াশার কারণে পথ পরিষ্কার দেখতে না পাওয়ায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে।
নিহত ব্যক্তি হলেন মো. ফরহাদ হোসেন (৪০)। তিনি ফরিদপুরের ভাঙা এলাকার বাসিন্দা। তিনি একটি বাসের চালক ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোর থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে প্রচণ্ড কুয়াশা ছিল। সামান্য দূরের কিছুও দেখা যাচ্ছিল না। এক্সপ্রেসওয়ের ষোলঘর থেকে হাসাড়া পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কে মাওয়ামুখী লেনে কয়েকটি যানবাহন একটিকে পেছন থেকে আরেকটি ধাক্কা দেয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। সড়কেও গাড়ির জটলা তৈরি হয়। বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজিয়া মাহবুব সকাল পৌনে ১০টার দিকে বলেন, আহত অবস্থায় ফরহাদ হোসেন ও জাকির হোসেন নামে দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। জাকিরের রক্তক্ষরণ হলেও অবস্থা কিছুটা ভালো ছিল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়। ফরহাদ বলছিলেন, তাঁর কোমরে ব্যথা হচ্ছে। এক্সরে করে তাঁকেও ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। তবে এক্সে করার আগেই ফরহাদ মারা যান। লাশ বর্তমানে হাসপাতালে আছে।
হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, দুর্ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহন সরিয়ে নিয়ে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করতে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। সকালে ঘন কুয়াশার কারনে বেশ কয়েকটি যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে পাঠানো হয়েছে। ঘন কুয়াশায় মাত্র অতিরিক্ত গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পুলিশের।