চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা একটি জাহাজ থেকে পাঁচজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত তিনজনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে আরো দুজনের মৃত্যু হয়েছে। চাঁদপুর নৌ-পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাহাজ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, হাইমচর উপজেলার মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে নোঙর করা ছিল এমভি আল-বাখেরা নামের জাহাজটি। সোমবার বিকালে জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে নৌ পুলিশ সেখানে যায়। টেলিফোনে বলা হয়েছে, ওই জাহাজে ডাকাতের হামলা হয়েছিল। আমরা পাঁচজনের লাশ পেয়েছি, তিনজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই পাঁচজনকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ।
নিহত ৭ জনের পরিচয় জানা না গেলেও আহত বাকি একজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর কোস্টগার্ড কমান্ডার লেফটেন্যান্ট ফজলুল হক। আহত ব্যক্তির নাম জুয়েল (২৮)। তাকে জরুরিভিত্তিতে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। তার শ্বাসনালী কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে কমান্ডার ফজলুল হক জানান, সোমবার দুপুরে চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে এমভি আল-বাখেরা নামে পণ্যবাহী একটি জাহাজ থেকে ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয় আরো ৩ জনকে। এরপর আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর পর আরো ২ জন মারা যান। তিনি বলেন, জাহাজটি নোঙর করা ছিল। চট্টগ্রাম থেকে সার নিয়ে জাহাজটি সিরাজগঞ্জের পথে যাচ্ছিল। নিহতদের শরীরে দেশি অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গলা ও মাথাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিসুল ইসলাম বলেন, আহত অবস্থায় তিনজনকে আনা হয়। দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মহসিন উদ্দিন বলেছেন, গুরুতর অবস্থায় যে তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছে। আরেকজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।