ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন নয় জানিয়ে জামায়াতের ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, মসজিদ যদি পাহারা দেয়া না লাগে, তবে মন্দিরও পাহারা দেয়া লাগবে না। সকলেই শান্তিতে সহাবস্থান করবে। এসময় তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার, বাড়িঘর লুটপাটের আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের কর্মী সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, বৈষম্যহীন একটা দেশ গড়তে চাই। যে দেশে দখলবাজ চাঁদাবাজি চলবে না। দুর্বলরা সবল দ্বারা অত্যাচারিত হবে না। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা পাবেন। সমতা-সাম্য কায়েম হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এতদিন বিনা ভোটে যারা সংসদে প্রতিনিধিত্ব করে দেশের মালিক দাবি করেছিলেন তাদের দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। দেশের মালিক জনগণ। স্বৈরাচার হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর জনগণ দেশের মালিকানা ফিরে পেয়েছেন।
জামায়াত আমির বলেন, ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ অক্টোবর পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে লাশেও ওপর নৃত্য করেছিল আওয়ামী লীগ। এরপর পিলখানায় ৫৭ দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারকে হত্যা করে দুটি বাহিনীর মনোবল ধ্বংস করে দেয়া হয়। সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হলেও তার রিপোর্ট আজো প্রকাশ করা হয়নি।
জামায়াতের গাইবান্ধা জেলা আমির মো. আব্দুল করিম সরকারের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জহুরুল হক সরকারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, সাবেক জেলা আমির ডা. আবদুর রহীম সরকার, ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ বক্তব্য রাখেন।