চাঁদপুরের মেঘনায় সারবাহী জাহাজে নৃশংসতম ৭ খুনের ঘটনায় একমাত্র বেঁচে থাকা জুয়েল রানার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যে কথা বলতে পারবেন তিনি।
এর আগে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে জুয়েল গলায় ড্রেসিং করা হয়। স্যালাইনের পাশাপাশি তাকে দেয়া হচ্ছে তরল খাবারও।
চিকিৎসকরা জানান, অবস্থার আরেকটু উন্নতি হলে গলায় লাগানো কৃত্রিম নল খুলে দেয়া হবে। এরপর ধীরে ধীরে কথা বলতে পারবেন তিনি।
আরো পড়ুন: জাহাজের ৭ জনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হ*ত্যা: র্যাব
এদিকে, সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যায় পিবিআইয়ের একটি তদন্ত দল। স্বজনদের কাছে শুনেন ঘটনার বর্ণনা। এ সময় কাগজে লিখে জুয়েল জানান, সুস্থ হয়ে ঘটনার সবকিছু খুলে বলবেন তিনি।
এর আগে, গত সোমবার চাঁদপুরের মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে সারবাহী জাহাজ থেকে পাঁচ শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় গুরুতর আহত দুইজনকে হাসপাতালে নিলে তারাও মারা যান।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার ফরিদপুর জোয়াইর উপজেলার মো. গোলাম কিবরিয়া (৬৫), তার ভাগিনা জাহাজের লস্কর শেখ সবুজ (৩৫), জাহাজের সুকানী নড়াইল লোহাগড়ের আমিনুল মুন্সী (৪০),জাহাজের লস্কর মাগুরার মোহাম্মদপুর এলাকার মো. মাজেদুল ইসলাম (১৭), একই এলাকার লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬), নড়াইল লোহাগড় এলাকার জাহাজের ইঞ্জিন চালক মো. সালাউদ্দিন মোল্লা (৪০) ও মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর থানার জাহাজের বাবুর্চি রানা (২০)।
জাহাজ থেকে রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, ছুরি, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ ও নগদ ৮ হাজার টাকাও উদ্ধার করে পুলিশ।