ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে এক্সপ্রেসওয়ের হাসাড়া এলাকায় ঢাকামুখি লেনে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দুইজন। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় কাভার্ডভ্যানের পেছনে যাত্রীবাহী মিনিবাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার কল্লিগাঁও এলাকার প্রয়াত নুরুল ইসলামের ছেলে মো. জীবন শেখ (২৪) ও সিরাজদিখান উপজেলার ফকিরবাড়ীর মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে মো. রায়হান (৩৬)। গুরুতর আহত ব্যক্তির নাম অমিত (২৮)। অন্যদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে দ্রুতগতিতে ঢাকা-শ্রীনগরগামী রুটের আবদুল্লাহপুর পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে শ্রীগরের দিকে যাচ্ছিল। এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান পার্কিং করা ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই কাভার্ড ভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় বাসটি। এ সময় বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। বাসের সাত যাত্রীকে উদ্ধার করে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ক্যামেলিয়া সরকার শুক্রবার সকালে বলেন, ‘দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সাতজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দুজন মৃত ছিলেন। অন্য পাঁচজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অন্য আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’
শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া এলাকায় ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে পূর্বাশা পরিবহনের ঢাকাগামী একটি বাস পেছন থেকে আরেকটি যানবাহনকে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাসচালকের সহকারী ও সুপারভাইজর গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওই দুজনের মৃত্যু হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
হাইওয়ে থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী বলেন, সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকার দুর্ঘটনায় কাভার্ড ভ্যান ও বাসটি আমরা জব্দ করেছি, তবে বাসের চালক পালিয়ে গেছেন। ঘন কুয়াশা ও বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’