টঙ্গী ইজতেমা মাঠে তিনজন নিহতের মামলার ৯ নম্বর আসামি সাদপন্থী নেতা শফিউল্লাহর (৪৬) দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (০৫ জানুয়ারি) গাজীপুরের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এই আদেশ দেন।
টঙ্গী পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইস্কান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, শফিল্লাহকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। শফিউল্লাহ শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার ডগরী তালুকদার বাড়ি গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে।
তিনি রাজধানী ঢাকার মুগদা বড় মসজিদের খতিব ও সাদপন্থীদের নেতা।
পুলিশ জানায়, শরীয়তপুর পালং থানার স্টেডিয়াম রোড এলাকা থেকে তাকে শনিবার রাত সোয়া ৯ টায় গ্রেফতার করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় আনা হয়।
মামলার বাদী পক্ষ তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, শফিউল্লাহ আমাদের মামলার ৯ নম্বর আসামি। তার দুই দিনের রিমান্ড হয়েছে।
এ বছর দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় পর্ব ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়া কথা রয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বর শুরায়ে নেজামের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের প্রস্তুতি হিসেবে ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শেষ হয়। ২০ ডিসেম্বর সাদপন্থিরা জোড় ইজতেমা করবেন ও জুবায়েরপন্থিরা করতে দিবে না বলে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
এই অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর সাদপন্থীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনের ঘোষনা দিয়েছিল।
কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর রাতেই ঘটে যায় অপ্রীতিকর ঘটনা। নিহত হন তিনজন ও আহত হন শতাধিক মুসল্লি। এই ঘটনায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় জুবায়ের পন্থিদের পক্ষ থেকে সাদপন্থিদের ২৯ জনকে শনাক্ত ও শত শত অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা হয়। এই মামলার শনাক্ত ৫ নম্বর আসামি মুয়াজ বিন নূর ও ৬ নম্বর আসামি জিয়া বিন কাসেম গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।
এই নিয়ে এই মামলায় তিনজন গ্রেফতার হলেন।