বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত হাসান ছিদ্দিক ওরফে মুরাদকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলে তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ফুলপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
প্রতারণার শিকার হাসান ছিদ্দিক ওরফে মুরাদ ফুলপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমুয়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০ জুলাই ফুলপুর এলাকায় তাঁর হাতে আঘাত পান। এরপর দুই মাস বেতন দেওয়ার পর তাঁকে চাকরিচ্যুত করে প্রতিষ্ঠান। এখন বাড়িতেই আছেন হাসান ছিদ্দিক।
জিডিতে উল্লেখ করেছেন, তিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন। গত ১৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁর মোবাইল ফোনে তিনটি অপরিচিত নম্বর থেকে কল আসে। আন্দোলনে আহত হওয়ায় সরকারিভাবে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে বলে তাঁকে জানানো হয়।
অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা তাঁর এটিএম কার্ডের দুই দিকের ছবি চান। সরল বিশ্বাসে তিনি সেই ছবি পাঠান। এরপর তারা একটি ওটিপি পাঠিয়ে একটি সংখ্যা দিয়ে গুণ করে জানাতে বলে। পরে সংখ্যাটি বলেন তিনি। এর পর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে দেখেন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা নেই। যে ফোন নম্বর থেকে কল করা হয়েছিল, সেই নম্বরগুলোও বন্ধ রয়েছে।
ফুলপুর থানার ওসি আবদুল হাদি বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধী চক্র দ্রুতই আইনের আওতায় আসবে। কেউ যেন এ ধরনের প্রতারণার শিকার না হন, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।