![শেরপুরে আলুর বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক শেরপুরে আলুর বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক](https://www.amaderbarta.net/media/imgAll/2023November/bogura-2502101148.jpg)
বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছর আলুর দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা উৎসাহী হয়ে এবার বেশি জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। ফলনও বেশি হবে বলে আশা করেছিলেন। সে অনুযায়ী আলু চাষে বাম্পার ফলনও হয়েছে। তবে আলুর দাম পড়ে যাওয়ায় কৃষকেরা দাম নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। উৎপাদন খরচের তুলনায় আলুর দাম পড়ে যাওয়ায় তারা আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন।
শেরপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে পাকরি, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল আলু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে, ২০ টাকা কেজিতে। অথচ কৃষকের আলু চাষে এর চেয়ে খরচ পড়েছে বেশি।
কুসুম্বি গ্রামের কৃষক আমিনুল বলেন, এবার আমি পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। সব মিলিয়ে বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকার মতো। গত বছর একই জমিতে খরচ হয়েছিল ৫০-৫৫ হাজার টাকার মতো। সার, কীটনাশক ও জমির লিজ মূল্য বেড়ে যাওয়ায় এবং বাজারে আলুর দাম কম থাকায় ক্ষতির আশঙ্কায় আছি।
আরেক কৃষক শামীম বলেন, এবার বীজ সংকটের কারণে বেশি দামে বীজ কিনেছি। সারের দামও বেশি। যদিও বাম্পার ফলন হয়েছে তবুও লেট ব্লাইট রোগের কারণে বাড়তি খরচ করতে হয়েছে আমাদের। কীটনাশক ব্যবহারের পরও এই রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
এক আলু ব্যবসায়ী জানান, এবার কৃষকদের কাছ থেকে ডায়মন্ড আলু কিনছেন ২১ টাকা ৫৭ পয়সা দর কেজিতে, যা কৃষকেরা তাদের গুদাম পর্যন্ত পৌঁছে দেবেন।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, শেরপুরে চলতি বছর ২ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে চাষ হয়েছে, ২ হাজার ৭শ ৬৫ হেক্টর জমিতে। পুরো বগুড়া জেলায় চলতি মৌসুমে আলুচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, ৫৫ হাজার ৫শ ৫০ হেক্টর জমি।
শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার জানান, কৃষকদের সতর্ক করতে নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হয়েছে আর উৎপাদন বাড়লে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে দাম একটু কম থাকবে, এটাই স্বাভাবিক!