
মঠবাড়িয়ায় কয়লা বোঝাই জাহাজ থেকে অচেতন অবস্থায় ৬ শ্রমিক উদ্ধার
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার নদীর চরে আটকে থাকা একটি কয়লার জাহাজ থেকে অচেতন অবস্থায় ছয় শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে এক শ্রমিককে হাতপা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।
জাহাজের মাস্টার আবুল হাশেম (৪৯), সুকানী বিপ্লব (৩৫) বাবুর্চি নিদু মিয়া (৬০), স্কট শান্ত (১৮) ও শাওন (১৭) নামের পাঁচজনকে অচেতন অবস্থায় এবং নাছির হোসেনকে (৩৫) হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
পরে তাদের স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ছোট মাছুয়ায় বলেশ্বর নদীর চরে আটকে থাকা এম.বি. শাকিল পরিবহন (এম ২৫৯১২) থেকে এ ছয় শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়।
জাহাজের মাস্টার আবুল হাশেম জানান, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মংলা থেকে জাহাজে কয়লা বোঝাই করে তারা ঢাকার গাবতলী রওয়ানা দেন।
পরে বাগেরহাট মোড়েলগঞ্জ থানার সোনাখালী এলাকায় নদীতে জাহাজ নোঙর করে ইফতার ও তারাবি নামাজ পড়ে বিশ্রাম নিতে থাকেন। এ সময় কীভাবে তারা ঘুমিয়ে পড়েন এবং কীভাবে হাসপাতালে এলেন, তা তিনি বলতে পারেন না।
জাহাজের স্কট মো. শান্ত জানান, ইফতার করার সময় সোনাখালীর সেখান থেকে দুজন স্কট তাদের জাহাজে এসেছিলেন। তারপরে কী হয়েছে, তা তিনি বলতে পারেন না।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুরে তাদের জাহাজ ছোট মাছুয়ায় বলেশ্বর নদীর চরে আটকে চরে আটকে থাকা অবস্থায় এবং জাহাজের লোকজনের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। তবে জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করা হয়নি।
স্থানীয় সেলিম ইটভাটার ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন মন্টু মিয়া বলেন, সেহেরি খাওয়ার পর নদীর চরে জাহাজটি আটকে থাকতে দেখি। ইঞ্জিনও তখন চালু অব্স্থায় দেখতে পাই। এরপর আমরা উপর থেকে বারবার চিৎকার করে সমস্যা জানার চেষ্টা করি কিন্তু কোনো উত্তর না পেয়ে দুপুরের দিকে ট্রলারে করে জাহাজের কাছে গিয়ে লোকজনের হাত-পা বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে আমার মালিককে বিষয়টি জানাই।
পরে পুলিশ ও সাংবাদিকরা এসে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং জাহাজটি বন্ধ করে নোঙর করা হয়। তবে জাহাজের শ্রমিকরা অসুস্থ থাকায় অন্য কোনোকিছু হারানো গেছে কিনা, সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে এবং জাহাজটি নিরাপদের রাখা হয়েছে।