
গণপরিষদ নির্বাচন দাবির পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনে তিন শ আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ঈদের পরই নিবন্ধনের জন্য যাচ্ছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। এখন নিবন্ধন পেতে ইসির শর্তপূরণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। পাশাপাশি গঠন হচ্ছে যুব উইং। পর্যায়ক্রমে গঠন হবে স্বেচ্ছাসেবকসহ নানা পেশাজীবী সহযোগী সংগঠন।
নতুন ঘোষিত এই দলটির এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে ২৪০ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি। দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, এই কমিটির মেয়াদ এক বছর। এরপর হবে জাতীয় কাউন্সিল। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ে চূড়ান্ত হচ্ছে গঠনতন্ত্র। কমিটির পরিসর নিয়ে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা থাকছে সেই গঠনতন্ত্রে।
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘আমরা যার ওপর দাঁড়িয়ে আছি, তা হচ্ছে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ। এটাকে একটা জনপ্রিয় স্লোগানের মধ্যে আনতে হবে। সেরকম কয়েকটি প্রস্তাব এসেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে স্লোগান, মার্কা, লোগোর কাজ হয়ে যাবে। মাত্র দল হিসেবে শুরু করলাম, একটু সময় লাগবে।’
এদিকে, গণপরিষদ নির্বাচনের দাবির পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে দলটি। ঈদের পর নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যাচ্ছে নিবন্ধনের জন্য। আর সে জন্য শুরু হচ্ছে জেলা-উপজেলায় কার্যালয় ও কমিটি গঠনের কাজ।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, ‘আমাদের চিন্তা আছে, আমরা তিন শ আসনে প্রার্থী দেব। কারও সঙ্গে জোটের ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু মাত্রই আমাদের দল ঘোষণা হয়েছে, আমরা আমাদের পরিচয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের সংগঠনটা গুছিয়ে বিস্তার করতে চাই।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির থানায় পর্যায়ে সাড়ে চার শ কমিটিও শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে মূল দলের সঙ্গে। সেই সঙ্গে থাকছে যুব, কৃষক ও স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনও।
যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘যুবক সম্প্রদায়কে বর্তমান দলগুলো কেন রাজনীতিমুখী করতে ব্যর্থ হয়েছে পাশাপাশি কেমন যুব সংগঠন দরকার, এমন মতামত আমরা যুবকদের কাছ থেকেই শুনতে চাই।’
ভোটের রাজনীতিতে মধ্যপন্থার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে জনমানুষের কাছে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছে দলটি।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। আর এর মূলভাগে ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেই ধারাবাহিকতায় অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়াদের নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি।