
লালমনিরহাটে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে গৃহবধূ হাসিনা বেগমকে হত্যা মামলায় পলাতক স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর তার দেয়া ঠিকানায় গিয়ে হাসিনার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া মাথা খুঁজে পায় পুলিশ।
রোববার (৯ মার্চ) বিকেলে থানা ও ডিবি পুলিশের একটি যৌথ দল শহরের খুটামারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে। সোমবার (১০ মার্চ) সকালে ডিবি পুলিশের ওসি সাদ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতার আশরাফুল ইসলাম (৫০) পেশায় ভ্যানচালক। সে জেলার আদিতমারীর দূর্গাপুরের দীঘলটারী গ্রামের বাসিন্দা। নিহত হাসিনা বেগম (৩৮) আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং আদিতমারীর দীঘলটারী গ্রামের কাশেম আলীর মেয়ে।
জানা গেছে, গত বুধবার দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাতের আঙুলের ছাপ থেকে রংপুরের সিআইডি পুলিশ নিশ্চিত করে, মরদেহটি আশরাফুলের স্ত্রী হাসিনা বেগমের।
ঘটনার পর থেকে নিহত হাসিনা বেগমের স্বামী আশরাফুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী মেহেরুন্নেসা পলাতক ছিল। গত শুক্রবার বিকেলে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ মেহেরুন্নেসাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নেয়। পরে শনিবার মেহেরুন্নেসা জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার সতিন হাসিনা বেগমের বিচ্ছিন্ন মাথা পুঁতে রাখার তথ্য দেন। সেই তথ্য মতে জেলার আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটি তামাক ক্ষেতে পুঁতে রাখা হাসিনার বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত আশরাফুলকে ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ (সোমবার) এসপি অফিসের মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।