
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি।
বুধবার (১২ মার্চ) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো শোকবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যবসায়ী নেতা ও সমাজসেবক সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বুধবার (১২ মার্চ) সকালে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন! (ইন্না লিল্লাহি... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী একজন দূরদর্শী শিল্প উদ্যোক্তা এবং ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন ছিলেন। এছাড়া তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অ্যাপেক্স গ্রুপেরও চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে অবিভক্ত ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন কিন্তু উদ্যোক্তা মনোভাব তাঁকে অ্যাপেক্স গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করতে অনুপ্রাণিত করে। পরে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী একজন নিবেদিতপ্রাণ জনসেবক ছিলেন।
তিনি ১৯৯৬ এবং ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে দুইবার বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেছেন। সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী ব্যক্তিগত জীবনে ছেলে, মেয়ে এবং নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।
তাঁর জানাজার নামাজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০.৩০টায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এবং বাদ জোহর গুলশান আযাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।
ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা এবং সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেছেন, মঞ্জুর ছিলেন একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সহানুভূতিশীল মানুষ। তিনি সবসময় দেশ ও মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করতেন। তাঁর মতো গুণীজনকে হারানো ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি! আমরা তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।