সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালাী তিন উপজেলায় ১০টি মসজিদের ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টায় তিন উপজেলার চার গ্রামের মানুষ ১০টি মসজিদে একযোগে ঈদের জামাত আদায় করেছেন। জানা গেছে, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানীর (র.) মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা।
কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্মীনারায়ণপুর, হরিণারায়নপুর, বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর, রামভল্লবপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগে রোজা রাখেন। এছাড়া ঈদ-উল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা প্রায় ১শ বছর ধরে ঈদ জামাতের আয়োজন করে থাকেন।
গ্রামগুলো হলো, নোয়াখালীর সদর উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভা লক্ষ্মীনারায়ণপুর ও হরিনারায়ণপুর গ্রাম, কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের রামভল্লবপুর, বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রাম। মসজিদগুলি হচ্ছে- বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বসন্ত বাগ গ্রামের সিনিয়র মাদ্রাসা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ পোদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের নগর বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, বসন্তবাগ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, পশ্চিম বসন্তবাগ গ্রামের মুন্সি বাড়ির দরজা জামে মসজিদ, ফাজিলপুর গ্রামের দায়রা বাড়ির জামে মসজিদ, বেগমগঞ্জের জিরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের জামে মসজিদ, কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের রামভল্লবপুর দায়রা শরিফ ও নোয়াখালী পৌরসভার হরিণারায়নপুর রশিদিয়া রহিমিয়া দরবার শরিফ, খান্দানে কাদেরী তরিকায়ে আবুল উলাইয়ী গোলামে জাহাগীরি দায়রা শরিফে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
গোলামে জাহাগীরি দায়রা শরিফের সাধারণ সম্পাদক সফিকুর রহমান জানিয়েছেন, শত বছর ধরে আমরা এক সঙ্গে ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আজহা উদযাপন করি।
নোয়াখালীর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ আল-ফারুক জানিয়েছেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোববার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, কবিরহাট ও সদর উপজেলার চার গ্রামের মসজিদে ঈদ-উল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা একদিন আগে রোজা রাখেন এবং একদিন আগে ঈদ করেন। সে অনুসারে ঈদ-উল ফিতর একদিন আগে করেন।
