
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পটুয়াখালী জেলার ৩৫টি গ্রামে প্রায় ২৫ হাজার মানুষ ঈদ-উল ফিতর উদযাপন করছেন।
রোববার (৩০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরিফের জামে মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ইমামতি করেন দরবার শরিফের সেঝ পীর শাহ সায়েদ আরিফ বিল্লাহ রাব্বানী। নামাজ শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সেঝ পীর শাহ সায়েদ আরিফ বিল্লাহ রাব্বানী বলেন, আমরা ইসলামিক শরিয়তের আলোকে বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে তা অনুসরণ করি। আমাদের দরবার শরিফের প্রতিষ্ঠাতা এই নিয়ম চালু করেছেন, যা আমরা আজও পালন করে আসছি।
বদরপুর দরবার শরিফের খাদেম মো. নাজমুল হোসেন বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এখানকার গ্রামবাসীরা একদিন আগে রোজা রাখা শুরু করেন এবং সেই ধারাবাহিকতায় একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করেন।
ঈদ উদযাপন করা ৩৫ গ্রামের মধ্যে রয়েছে- গলাচিপার সেনের হাওলা, পশুরী বুনিয়া, নিজ হাওলা, কানকুনি পারা, মৌডুবি, বাউফলের মদনপুরা, রাজনগর, বগা, ধাউরাভাঙ্গা, সুরদি, চন্দ্রপাড়া, দ্বিপাশা, শাপলা খালী, কনকদিয়া, আমিরাবাদ, কলাপাড়ার নিশানবাড়িয়া, ইটবাড়ীয়া, শহরের নাঈয়া পট্টি, টিয়াখালী, তেগাছিয়া, দক্ষিণ দেবপুর।
এই এলাকার মুসল্লিরা হানাফি মাজহাব অনুসরণ করেন এবং কাদেরিয়া তরিকার ভক্ত। তাদের বর্তমান পীর হলেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হযরত শাহসুফি মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ মমতাজ আলী।
ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা পরস্পরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। দরবার শরিফের পক্ষ থেকে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টান্ন (পায়েস) পরিবেশন করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দেশের বেশিরভাগ মানুষ সোমবার ঈদ-উল ফিতর উদযাপন করবেন। তবে বদরপুর দরবার শরিফের অনুসারীরা তাদের দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য মেনে রোববারই ঈদ উদযাপন করছেন।