
১৭ বছর পর মুক্ত পরিবেশে এবং ভিন্ন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ঈদ উদযাপন করছেন বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্বৈরাচারমুক্ত পরিবেশে স্বস্তির ঈদ উদযাপন করতে পেরে খুশি বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
অনেক দিনের হামলা-মামলার কষাঘাতে জর্জরিত নেতা-কর্মীরা বলছেন, বিগত ১৭ বছর সময়ে যে দুর্বিষহ অত্যাচার-নির্যাতন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, তা যেন ভবিষ্যতে কখনো আর ফিরে না আসে।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হৃদয় হাসান। কুমারখালী সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত এই তরুণের বেশ কয়েকটি ঈদের সময় কেটেছে কারাগারে। তার অপরাধ বিএনপির অঙ্গসহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা।
নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের যুবক হৃদয় হাসান জানালেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কারণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলার কারণে অনেকদিন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি। তার পরিবারেও ছিল না ঈদের আনন্দ। তিনি জানান, আওয়ামী সরকার পতনের পর এ বছর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে পারছেন।
হৃদয় হাসানের মা মোছা. রেনু বেগম বলেন, ছেলে বিরোধীদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে আমরা পরিবারের সদস্যরাও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারিনি। দীর্ঘ সময়ে বাড়িতে ছিলো না ঈদের কোনো আনন্দ। সব সময় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটতো। ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, যাতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছিল আওয়ামী দোসরদের নানান হয়রানি।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম বলেন, শুধু হৃদয় হাসান নয়, বিরোধীদলের ও মতের কোনো নেতাকর্মীরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনমলে ঈদ উদযাপন করতে পারেননি। বিগত সময়ে এসব নেতা-কর্মীদের বাড়িতেও ছিল না ঈদের আনন্দ। নানা রকম হয়রানি আর অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকলেও তারা চান না, এ রকম দিন সামনে আসুক, তারা তা চান না।