
পাঁচ চিকিৎসকের চারজনকে একযোগে বদলি করায় প্রতিবাদ করেছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সংকটে ধুঁকছে পটুয়াখালীর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক (গাইন) না থাকায় পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছিলেন পাঁচ চিকিৎসক। সেখান থেকে চারজনকেই বদলি করা হয়েছে।
এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) মানববন্ধন করেছেন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা।
যে চার চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছে, তারা হলেন মো. মিরাজুল ইসলাম, তাসমিম তানজিলা ইসলাম, মারজান আফরিন, লামিয়া আহম্মেদ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৩১ শয্যা এবং ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে এটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তখন থেকেই চিকিৎসক সংকট চলছে। ৫০ শয্যার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ চিকিৎসকের ১০টি পদ রয়েছে, যেখানে পাঁচজন চিকিৎসক স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন। তাদের মধ্যে থেকে চার চিকিৎসককে ২৭ মার্চ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক চিঠির আদেশে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজে বদলি করা হয়। বদলির খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বাউফল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি অতুল চন্দ্র পাল বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রউফ প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন। অর্থাৎ এখানে চিকিৎসক আছেন একজন। একজন চিকিৎসক দিয়ে ১৫টি ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভার সাড়ে চার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব না। এটা এ উপজেলার মানুষের সঙ্গে প্রহসন ছাড়া কিছুই না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা (প্রশাসনিক) কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রউফ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাকে প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। একজন চিকিৎসকের পক্ষে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব নয়।