
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলা ও নিরীহ মানুষদের হত্যার প্রতিবাদে রাজশাহীতে ব্যাপক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সোমবার (৭ এপ্রিল ) সকাল থেকেই রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে প্রতিবাদের ঢেউ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ, রাজশাহী কলেজসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এই কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরাও স্থানীয় মসজিদগুলো থেকে বের হয়ে এই আন্দোলনে যুক্ত হন।
বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীরা ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’, ‘ইসরায়েলের বর্বরতা বন্ধ করো, ‘গণহত্যার দায়ে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতে তোলা হোক -এমন সব শ্লোগানে মুখর করে তোলেন রাজপথ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে যেভাবে ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে আসছে, তা বিশ্ব মানবাধিকারকে চরমভাবে লঙ্ঘন করছে।
তারা আরো বলেন, গাজায় চালানো গণহত্যা বিশ্ব বিবেকের জন্য এক বড় পরীক্ষা অথচ তথাকথিত মানবাধিকারের ধ্বজাধারীরা চুপচাপ বসে রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়ার জন্য জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। পাশাপাশি যারা এ হত্যাযজ্ঞের পৃষ্ঠপোষকতা করছে কিংবা চোখ বুজে রয়েছে, তাদের পণ্য বর্জনের আহ্বানও জানান বক্তারা। বক্তাদের মতে, আমেরিকা ও তার মিত্ররা এ ঘটনায় নীরব থেকে প্রকৃতপক্ষে গণহত্যাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে।
বক্তারা মুসলিম দেশগুলোর নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, মুসলিম দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে একতাবদ্ধ হয়ে ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিবাদ গড়ে তোলা।
দিনব্যাপী চলা এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় দোয়া মাহফিলও অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ফিলিস্তিনে নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
এর আগে, দেশে ফিলিস্তিন ইস্যুতে সাময়িকভাবে সব শিক্ষা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের দাপ্তরিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়, যার প্রেক্ষিতে রাজশাহীতেও আন্দোলন আরো ব্যাপক আকার ধারণ করে।