
নাটোরের লালপুরে গ্রেফতার আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। এর মধ্যে ছিনতাই হওয়া রুবেল উদ্দীনও রয়েছেন। অন্য গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার গৌরীপুরের আবুল হোসেনের মেয়ে ও রুবেল উদ্দিনের বোন রূপা খাতুন (২৫), ফারজানা ইয়াসমিন বৃষ্টি (২০) ও কদিমচিলান ইউনিয়নের গোধরা গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মাসুদ রানা ওরফে মজনু তালুকদার (৪৫)।
এ ঘটনায় আসামি ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১শ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদিকে, দায়িত্বে অবহেলার জন্য ওসিসহ চার পুলিশ সদস্যকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে লালপুর থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
সেলিম রেজা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দুপুরে ঈশ্বরদী এয়ারপোর্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে যৌথ বাহিনী চারজনকে গ্রেফতার করে। এর আগে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে লালপুর থানা থেকে রুবেল উদ্দিনকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ছিনিয়ে নিয়ে যান। রুবেল উদ্দিন জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার গৌরীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
এ ঘটনায় নাটোরের বাগাতীপাড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতেই উপজেলার নুরুল্লাহপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রায়হান কবির সুইটকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ১শ থেকে ১শ ২০ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিএনপি নেতা আব্দুর রশিদের বাড়িতে গুলিবর্ষণের ঘটনায় একটি মামলা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে বাগাতিপাড়া থানা পুলিশ রুবেল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে লালপুর থানায় নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী থানায় উপস্থিত হয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশের ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
পুলিশ তাকে ছাড়তে অসম্মতি জানালে একপর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে হট্টগোল করে থানা থেকে রুবেলকে ছিনিয়ে নিয়ে শ্লোগান দিতে দিতে থানা ছেড়ে চলে যান। এ ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হন। এরপরে যৌথ বাহিনী ছিনিয়ে নেওয়া আসামিসহ এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে এলাকায় অভিযান চালায়।
এবিষয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার আমজাদ লালপুর থানার ওসি, একজন সাব-ইন্সপেক্টর, দুজন কনস্টেবলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।