
মাদারীপুরে রাজৈর উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার রাজৈর বেপারিপাড়া মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জের ধর এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঈদ পরবর্তী সময় ২ এপ্রিল উপজেলার কুণ্ডুপাড়ার ফুচকা ব্রিজ এলাকায় বাজি ফাটায় বদরপাশা গ্রামের আতিয়ার আকনের ছেলে জুনায়েদ আকন ও তার বন্ধুরা।
এ সময় ওই গ্রামের মোয়াজ্জেম খানের ছেলে জোবায়ের খান ও তার বন্ধুরা মিলে তাদের বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে ৩ এপ্রিল সকালে রাজৈর বেপারিপাড়া মোড়ে জোবায়েরকে একা পেয়ে পিটিয়ে তার ডান পা ভেঙে দেয় জুনায়েদ ও তার লোকজন।
পরে আহত জোবায়েরের বড় ভাই অনিক খান বাদী হয়ে জুনায়েদকে প্রধান আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে উভয় গ্রামের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে শনিবার রাত ৮টার দিকে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। কয়েক ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলে।
এ সময় ব্যাপক ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাজৈর বেপারিপাড়ার মোড়ের বাজারের কয়েকটি দোকানপাট লুট ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে রাজৈর থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে ঘণ্টাব্যাপী প্রচেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২১ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর গ্রামের লাভলুর ছেলে সালাউদ্দিন (১৮), হয়দার আকনের ছেলে সাগর আকন (২৩), মাহবুব মোল্লার ছেলে ওমর মোল্লা (২২), হুমায়ুন খানের ছেলে ইমন খান (২০), হাবি শেখের ছেলে সাব্বির শেখ (১৮), রাজৈর থানার পুলিশ সদস্য জুয়েল সহ ৯ জন রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ছাড়া রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান, তদন্ত ওসি সঞ্চয় কুমার ঘোষ ও এসআই তারেকসহ অন্তত ১২ জন জন পুলিশ সদস্য ইটপাটকেলের আঘাতে আহত হয়েছেন।