ঢাকা শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ , ৫ বৈশাখ ১৪৩২ আর্কাইভস ই পেপার

bkash
bkash
udvash
udvash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
bkash
bkash
udvash
udvash

৫৬ বছরের দ্বন্দ্ব 

দুই বংশের টেঁটা যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত 

দেশবার্তা

আমাদের বার্তা, কিশোরগঞ্জ

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

সর্বশেষ

দুই বংশের টেঁটা যুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহত 

কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবের মৌটুপি গ্রামের কর্তাবাড়ি ও সরকারবাড়ির বিরোধ প্রায় ৫৬ বছরের। শান্তি কমিটি গঠন করেও থামানো যায়নি তাদের দ্বন্দ্ব। শুক্রবারও পাশের ভবানীপুর গ্রামে এই দুই বংশের মুখোমুখি টেঁটা যুদ্ধে একজন নিহত এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। 

নিহত মিজান মিয়া (৪০) উপজেলার ভবানীপুর সুলায়মানপুর গ্রামের মৃত রবিউল মিয়ার ছেলে। তিনি শ্রীনগর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব এবং সরকারবাড়ির পক্ষের লোক। 

এ ব্যাপারে ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, এই দুই বংশের অনুসারী ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন গ্রামে। দুটি বংশের বিরাজমান সংঘাত নিয়ন্ত্রণে আনতে না আনতেই দুই বাড়ির অনুসারীরা নিজেদের গ্রামে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন। ভবানীপুরের সংঘর্ষ তারই ধারাবাহিকতা। 

স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ৫৬ বছর ধরে গ্রামটির কর্তাবাড়ি ও সরকারবাড়ির লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছে। বর্তমানে কর্তাবাড়ির নেতৃত্বে আছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সাদেকপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন। সরকারবাড়ির নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান শেফায়েত উল্লাহ সরকার। গত পাঁচ দশকে বংশ দুটির বিরোধে দুই পক্ষের অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন। মামলা হয়েছে শতাধিক। দুই বংশের বিরোধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পাশের গ্রামগুলোতেও। ওই গ্রামগুলোর বাসিন্দারাও কোনো না কোনো পক্ষের হয়ে সংঘর্ষে অংশ নেন। 

এলাকাবাসী আরো জানান, গত বছর ঈদুল আজহার আগের দিন ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে কর্তাবাড়ির নাদিম নামের একজন মারা যান। সেই জেরে কয়েকদির পর আরেক সংঘর্ষে সরকারবাড়ির ইকবাল হোসেন নামের আরেকজন মারা যান। উভয় পক্ষই উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। দুই মামলার আসামিরা দীর্ঘদিন গ্রামের বাইরে অবস্থান করছিলেন। কয়েক মাস আগে উভয়পক্ষই জামিন পায়। 

জামিনের পর সরকারবাড়ির লোকজন গ্রামে ফিরে এলেও, কর্তাবাড়ির লোকজন ফিরতে পারছিলেন না। দুই সপ্তাহ আগে কয়েক গ্রামের লোকজন দলবদ্ধ হয়ে দুই বংশের লোকদের নিয়ে গ্রামে শান্তি কমিটি করেন। এরপর কর্তাবাড়ির লোকজন গ্রামে ফিরতে শুরু করেন। গ্রামে ফেরা নিয়ে উভয় পক্ষ আবারো সংঘর্ষে জড়ায়।


 

জনপ্রিয়