উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের চরম গাফলতি ও দূর্বল ব্যবস্থাপনাসহ নানা কারনে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর আওতায় দুই হাজার ৬শ ৬৫ জন তালিকাভুক্ত হতদরিদ্র সাধারণ মানুষজন ৭ মাস ধরে সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
তথ্যমতে, প্রধানমন্ত্রীর উপহার- খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় রৌমারী উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নের সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৯২ জন। তারা সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত ডিলারের মাধ্যমে বছরে ৫বার একজন কার্ডধারী প্রতিকেজি ১৫ টাকা হিসাবে ৩০ কেজি চাল পাচ্ছে।
পরবর্তীতে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি ভাবে ভিজিডিসহ বিভিন্ন সুবিধাভোগীদের নামের তালিকা অনলাইনে ডাটাবেজ নিশ্চিত করতে নির্দেশনা আসে। এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে একটি পরিবার সরকারিভাবে একটি সুবিধাভোগ করতে পারবেন। ফলে অনলাইনে ডাটাবেজ তৈরি করতে গিয়ে পরিবার প্রধানের একাধিক নামের তালিকা প্রকাশ পায়।
এ কারনে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর নামের তালিকা থেকে উপজেলায় ২ হাজার ৬৬৫ জন বাদ পড়েন। বাদপড়া নামের তালিকা সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিলে তারা নভেম্বর/২২ সালে তালিকা চুড়ান্ত করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে জমা দেন।
এনিয়ে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি নিয়ে উপস্থাপন করলে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন দ্রুত কার্ডগুলো অনুমোদন দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিলেও এখন পর্যন্ত অনুমোদন হয়নি।
যাদুরচর ইউপি চেয়ারম্যান সরবেশ আলী দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানান, আমি সঠিক সময়ে নামের তালিকা জমা দিয়েছি। খাদ্য কর্মকর্তাকে বারবার বলার পরেও কেন কার্ডগুলো ছাড় দিচ্ছেন না জানি না।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বসুনিয়া দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, সময় মতো নামের তালিকাগুলো জমা না দেওয়ায় ডাটাবেজ বন্ধ হয়ে যায়। উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং ডাটাবেজ খুললেই এন্ট্রি দেওয়া হবে।