বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের পঞ্চকরণ ইউনিয়নের আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৩টি শূন্যপদে জনবল নিয়োগ দেয়াকে কেন্দ্র করে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। ঘোলাটে পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থী উপস্থিতি কমে গেছে। অভিভাবক, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ। দু’পক্ষের কঠোর অবস্থান ও উত্তেজনায় প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম হয়েছে। জানা গেছে, খারইখালী আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসাটিতে আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের জন্য ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ই অক্টোবর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অনেকে ৫০০ টাকার অফেরৎযোগ্য পোষ্টাল অর্ডারসহ আবেদন করেন। কিন্তু কাউকে ইন্টারভিউ বোর্ডে ডাকা হয়নি। পরে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে ২রা অক্টোবর আবারো সহকারী সুপার, আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২য় দফার ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার খাতাপত্র নিয়ে পার্শ্ববর্তী বলইবুনিয়া ইউনিয়নের একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- সহকারী সুপার পদে মিজানুর রহমান, আয়া পদে তামান্না আক্তার ও নিরাপত্তাকর্মী পদে আল মামুন।
পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ে নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে এই নিয়োগ দেয়ার খবর জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়দের ক্ষোভ আরও বেড়ে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার কারণে নিয়োগের ১৫ দিন পরে ওই ৩ জন মাদ্রাসায় যোগদান করতে পারেননি। মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, টাকার বিনিময়ে গোপনে ভিন্ন এলাকায় গিয়ে ৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আয়া পদে চাকরির জন্য আবেদনকারী পারভিন বেগমের স্বামী পলাশ শেখ বলেন, ‘আমার নিকট থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে আমার স্ত্রীকে চাকরি দেয়নি। বেশি টাকা পেয়ে গোপনে ভিন্ন এলাকায় বোর্ড বসিয়ে তামান্নাকে চাকরি দিয়েছে।’ এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ৩ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে, কিছু ঝামেলা থাকার কারণে নিয়োগপ্রাপ্তরা এখনো যোগদান করতে পারেনি। স্থানীয় কিছু লোক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ তুলছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম তারেক সুলতান বলেন, ‘আমি এখানে নতুন। শহীদ শেখ রাসেল মুজিব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বসানো আহম্মদিয়া দাখিল মাদ্রাসার নিয়োগ বোর্ডে আমি ছিলাম। পরে কিছু সমস্যার কথা শুনেছি। তাই আপাতত ওই নিয়োগ স্থগিত রাখা হয়েছে। বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’