জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের ঘটনা কেমিক্যাল বিস্ফোরণের থেকে হয়েছে নাকি অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড সেটা তদন্তের প্রয়োজন আছে। আমরা ধ্বংসস্তূপ পর্যবেক্ষণ করেছি। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, এটা তদন্ত করে বের করা দরকার। আজ বুধবার সকালে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন করে তিনি এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমরা অনেকগুলো প্রাণ হারিয়েছি। এটি মর্মান্তিক ঘটনা। এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন বাহিনীর যারা বিশেষজ্ঞ আছে, তারা তদন্ত করে সঠিক ঘটনাটি বের করবে। আমি মনে করি, তারা যথেষ্ট যোগ্য। এগুলো তারা বোঝেন, জানেন এবং সে অনুযায়ী চেষ্টা করছেন।
কেন অন্তর্ঘাতমূলক মনে হলো ঘটনাটি, তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কামাল উদ্দিন বলেন, তদন্তের আগে এই মুহূর্তে চূড়ান্ত কোনো কিছু বলার অবস্থা আসেনি। তবে আমি অবাক হচ্ছি বেজমেন্টের একটি বিস্ফোরণে বহুতল ভবনের একাধিক তলা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এটা কী ধরনের বিস্ফোরক, সেটা বের করা প্রয়োজন, তবে এটা অন্তর্ঘাতমূলক ঘটনা নাও হতে পারে।
তিনি বলেন, এখানে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এবং সাইন্স ল্যাবে যে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে, এটা কিসের ইঙ্গিত- সেটা ভালো করে বোঝার দরকার। যে যেখানে আছেন, সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যে কোনো ধরনের সন্দেহজনক কিছু দেখলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করতে হবে।
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, কয়েক বছর আগেও দেখা গেছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ধরেছেও। তাই সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ বের করতে হবে। কোনো বিস্ফোরক নাকি রাসায়নিক থেকে এ ঘটনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার।