বাজারে পশ্চিম দিকে দোতলা বিল্ডিং ও পূর্বে একতলা বিল্ডিং থাকায় বাকি দোকানগুলো আগুন থেকে রক্ষা পায়।
বান্দরবানে থানচি উপজেলায় বলি বাজারে আগুন লেগে অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে গেছে।
বুধবার ভোরে উপজেলার বলিপাড়া ইউনিয়নের বলি বাজারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের থানচি ফায়ার স্টেশনের ফায়ার লিডার পেয়ার মাহমুদ।
পেয়ার মাহমুদ বলেন, “বাজারে একটি চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। আগুনে ৪৫টি স্থায়ী দোকান ও ৭টি ভাসমান কাঁচামাল দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।”
“খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।”
বলি বাজার কমিটির সভাপতি অংসিংম্যা মারমা জানান, “ভোর ৬টার দিকে বাজারে হোটেল নীলগিরি নামে একটা চায়ের দোকান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় তারা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও মুহূর্তের মধ্যেই আগুন পাশ্বর্বতী দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
“অল্প সময়ের মধ্যেই অর্ধশতাধিক দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে বাজারে পশ্চিম দিকে দোতলা বিল্ডিং ও পূর্বে একতলা বিল্ডিং থাকায় বাকি দোকানগুলো আগুন থেকে রক্ষা পায়। ”
বাজারে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তিনি বাজার থেকে বিভিন্ন ফলমূল, বাদাম ও হলুদ সংগ্রহ করে দোকান জমা করে রাখতেন। পরে বান্দরবান শহর ও চট্টগ্রামে নিয়ে পাইকার দোকানে বিক্রি করতেন। কিন্তু আগুনে তার পুরো দোকান ভর্তি জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে।
ইসমাইল নামে আরেক ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি জানান, বাজারে তার মুদি দোকান ও একটি কম্পিউটার দোকান ছিল। সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। দোকান থেকে কিছু বের করে আনা সম্ভব হয়নি।
লাইব্রেরি দোকানের মালিক প্রমংউ মারমা জানান, রাতে দোকান বন্ধ করে পাড়ায় গিয়ে ঘুমিয়েছিলেন। ভোরে আগুন লাগার খবর পেয়ে এসে দেখেন পুরো দোকানের আর কিছু অবশিষ্ট নেই।
বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে দোকানটা করেছিলেন জানিয়ে কিভাবে সেগুলো শোধ করবেন তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়েছেন এই ব্যবসায়ী।
থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল মনসুর বলেন, আগুনের খবর পাওয়ার পরপরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় লোকজনসহ আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
