স্কুল-কলেজগুলোতে সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৪৫ শতাংশের কম নম্বর পাওয়া ও ৭৫ শতাংশের নিচে উপস্থিতি থাকা শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। তারা উপবৃত্তি পাবেন না। স্কুল-কলেজগুলোতে উপবৃত্তির জন্য অযোগ্য শিক্ষার্থীদের নিষ্ক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি। সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির ও দ্বাদশ শ্রেণির যেসব শিক্ষার্থী ৪৫ শতাংশের নিচে নম্বর পেয়েছেন, ৭৫ শতাংশের নিচে উপস্থিত, বিবাহিত বা অন্যান্য কারণে উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য অযোগ্য তাদের এইচএসপি-এমআইএস সফটওয়্যারে স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিষ্ক্রীয় করতে হবে। আগামী ৭ মের মধ্যে শিক্ষার্থীদের নিষ্ক্রীয় করতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের। বিষয়টি জানিয়ে সব উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি পাঠিয়েছে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে ইতোমধ্যে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।
স্কিম পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে উপবৃত্তি পাওয়া সপ্তম থেকে ১০ম শ্রেণি ও দ্বাদশ শ্রেণিতে ৪৫ শতাংশের নিচে কম নম্বর পাওয়া, ৭৫ শতাংশের নিচে ক্লাসে উপস্থিতি, শেষ একাডেমিক স্তরে বিবাহিত ও অন্যান্য করাণে অযোগ্য শিক্ষার্থীদের স্ট্যাটাস পরিবর্তনের মাধ্যমে নিষ্ক্রিয়করণের জন্য বলা হলো। সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের সপ্তম থেকে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির জানুয়ারি-জুন কিস্তির উপবৃত্তি বিতরণের লক্ষ্যে অযোগ্য শিক্ষার্থীদের এইচএসপি-এমআইএসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে নিষ্ক্রিয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল সংশোধন বা হালনাগাদ করতে হবে আগামী ৭ মের মধ্যে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নয় এমন শিক্ষার্থীদের অবশ্যই নিষ্ক্রিয় করতে হবে।
সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচি জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তার আওতাধীন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কর্তৃক অযোগ্য শিক্ষার্থীদের নিষ্ক্রিয়করণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে মনিটরিং করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপবৃত্তি প্রাপ্তির অযোগ্য শিক্ষার্থীদের নিষ্ক্রিয়করণে ব্যর্থ হলে বা অযোগ্য শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পেলে সৃষ্ট যেকোনো সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান দায়ী থাকবেন।