রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষকবৃন্দ অবিলম্বে ভিসি নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন । একই সাথে শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবিও জানানো হয়েছে। গত শনিবার এক অবস্থান কর্মসূচি থেকে এসব দাবি জানানো হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সাধারণ শিক্ষকদের ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। অবস্থান কর্মসূচিতে রুয়েট'র বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক রবিউল আউয়াল বলেন, বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যিনি উপাচার্য পদে রয়েছেন তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত। দৈনন্দিন কাজের বাইরে তিনি আর তেমন কিছুই করতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সিন্ডিকেট মিটিং ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং পর্যন্ত তিনি করতে পারেন না। রুয়েট শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে আছে। অ্যাকাডেমিক সভা করতে না পারার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। আর এতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতাও ব্যাহত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও তারা এই ব্যাপারে ইতোপূর্বে স্মারকলিপি দিয়েছেন। শিক্ষাসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবরও স্মারকলিপি দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য পাননি। ফলে নানান সমস্যা হচ্ছে। এটি দীর্ঘায়িত হলে আরও জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ফারুক হোসেন বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ নয় মাস উপাচার্য নেই। যার কারণে এখানে অনেক কিছুই বন্ধ হয়ে আছে। সকল শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে আছে। শিগগিরই একজন পূর্ণাঙ্গ উপাচার্য দরকার। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যাবে।
এদিকে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রতিষ্ঠানিক কাজকর্ম স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত উপাচার্য প্রয়োজন। আর এই কথা অনস্বীকার্য। তাই শিক্ষকদের দাবির সাথে দ্বিমত প্রকাশের সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩০ জুলাই রুয়েটের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম সেখের উপাচার্য থাকার মেয়াদ শেষ হয়। এর এক দিন পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে রুয়েটের ফলিতবিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন ড. সাজ্জাদ হোসেনকে রুয়েটের ভারপ্রাপ্ত ভিসির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর নয় মাস পার হতে চলেছে কিন্তু ভারপ্রাপ্ত ভিসিই পরিচালনা করছেন রুয়েট।