ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত বইয়ে মানদণ্ড মেনে চলা প্রয়োজন : তথ্যমন্ত্রী

বিবিধ

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:১৮, ৮ মে ২০২৩

আপডেট: ১৪:৩০, ৮ মে ২০২৩

সর্বশেষ

বঙ্গবন্ধুর ওপর রচিত বইয়ে মানদণ্ড মেনে চলা প্রয়োজন : তথ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এখন বিভিন্নজন প্রচুর বই লেখে, অনেক ক্ষেত্রে লেখার প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়েছে। সেটি করতে গিয়ে অনেক ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে এবং বইয়ের মান রক্ষিত হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর ওপর দেশে-বিদেশে যে সমস্ত বই রচিত হয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলা প্রয়োজন এবং বইতে কোনোভাবেই যেন ন্যূনতম ইতিহাস বিকৃতি না ঘটে সে ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন। 

রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলার স্থপতি’ শীর্ষক ৭ খণ্ড বইয়ের প্রকাশনা এবং গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীর সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ খ্রিস্টান যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইলারিশ আর গোমেজের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ছাদেকুল আরেফীন, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, বিশপ থিওটোনিয়াস গোমেজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।

তথ্যমন্ত্রী ‘বাংলার স্থপতি’ বইয়ের গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীকে অভিনন্দন জানান। কানাডাপ্রবাসী কবি, লেখক ও গবেষক অ্যালভীন দীলিপ বাগচীর বাঙলার স্থপিত ১ থেকে ৭ খণ্ড বইয়ের মধ্যে মহকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান, দেশ নেতৃত্ব সংগ্রামের প্রাণপুরুষ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাঙালির গর্বের ঘটনাপুঞ্জ, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের আনুপাতিক বর্ণণাসহ জাতিসত্ত্বার প্রায় সকল অমর গাঁথাকে সুনিপুণভাবে গ্রন্থিবদ্ধ করেছেন। তার এই অমর কীর্তি বাঙালি জাতিসহ বিশ্ব সমাজের সব শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জাগরণের ক্ষেত্রে এক উৎসগ্রন্থ হিসাবে সমাদৃত হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত যে একই সত্বার অভিন্ন প্রকাশ। এই মৌলিক বিষয়াবলীকে দীলিপ বাগচী অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। তার লেখা বাঙলার স্থপতি ১-৭ খণ্ড বই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পাঠ ও গবেষণার দাবি রাখে।

আগামীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গ্রন্থ রচনার জন্য তাকে অনুরোধ জানান তথ্যমন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৭ মে জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে দেশে না ফিরতেন তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রও ফিরতো না। ১৯৮১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ মে তিনি প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে পদার্পণ করেছিলেন। ৭ মে তার বিদেশ থেকে দ্বিতীয় দফা প্রত্যাবর্তনের দিন এবং প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র গণতন্ত্রের মানসকন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে এ দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ। 


হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন অসীম সাহসী ছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও অসীম সাহসী। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য হারান না, যেমন বঙ্গবন্ধু হারাননি। বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ যখন গ্রেফতার করা হয় তখন শুধু সেনাবাহিনী গিয়েছিলো তা নয়, তাকে গ্রেফতারের আগে চারপাশে বিভিন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, ধানমন্ডি এলাকায় গোলাগুলি করা হয়। তিনি সে সময় ধৈর্য হারাননি। বঙ্গবন্ধু বরং পাকিস্তানিদের বলেছিলেন, তোমাদের এতো গোলাগুলি-বিস্ফোরণ ঘটানো, মানুষকে কষ্ট দেয়ার প্রয়োজন ছিলো না। আমার কাছে আসলেই তো আমাকে নিয়ে যেতে পারতে। তাকে গ্রেফতারের পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও প্রচণ্ড সংকটে ধৈর্য হারাননি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিবিসির অনলাইন জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। এর কারণ বিশ্লেষণে বলতে হয়, বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষের ৫ হাজার বছর ইতিহাসে বাঙালি কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। বাংলা ভাষাভাষীর কিছু অঞ্চল নিয়ে কোনো কোনো সময় স্বাধীন রাজা ছিল কিন্তু কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ছিল। তিতুমীর, সূর্যসেন, নেতাজী সুভাষ বসু অনেকেই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, বিদ্রোহ করেছে, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। বঙ্গবন্ধুই সেই নেতা যিনি বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে, পলে পলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করে চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এবং তার সেই ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি জাতি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছে, জয় বাংলা শ্লোগানে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছে। বিশ্ব ইতিহাসে এমন উদাহরণ বিরল। এজন্যই ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জাতির পিতা মুজিব তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দীলিপ বাগচী রচিত গ্রন্থগুলো সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পাবলিক লাইব্রেরিগুলোতে কিনে রাখা দরকার।

জনপ্রিয়