সপ্তম ও নবম শ্রেণির ছাত্র ও ছাত্রীর বিয়ে দিলেন সিরাজগঞ্জের মেছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও তার বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাওয়ার্দী ভূঁইয়া। বাল্যবিয়ের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
সম্প্রতি সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের খাসবালিয়া মেন্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পাত্রী স্থানীয় রুপসা হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী খাসবালিয়ামেন্দা গ্রামের রফিকুল মিস্ত্রির কন্যা রোজিনা খাতুন ও পাত্র একই স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্র একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে তুহিন তুষার।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে মেছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাল্য বিবাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার ওয়ার্ডে বাল্য বিয়ে দেয়া হচ্ছে শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে না দেয়ার জন্য নিষেধ করি। আমার কথা না শুনে চেয়ারম্যান ও তার ভাই সোহরাওয়ার্দী জোরপূর্বক কাজী ডেকে এনে বিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাওয়ার্দী জানান, ঘটনার সময় আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তুষারের পরিবার। ছেলের পরিবারের মাধ্যমে কাজী আব্দুর রহমানকে ডেকে এনে কাবিন ও মাওলানা আলামিনকে দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক আবুল হোসেন, মিঠু, পলাশসহ ছেলে ও মেয়ের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। খোঁজখবর নিতে ওই এলাকায় তিনি পুলিশ পাঠাবেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশুকেতা রাব্বি জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।