ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

জবিতে প্রতিষ্ঠাতা কিশোরীলালের কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই

শিক্ষা

আমাদের বার্তা, জবি 

প্রকাশিত: ০০:০০, ১৮ মে ২০২৩

সর্বশেষ

জবিতে প্রতিষ্ঠাতা কিশোরীলালের কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ক্ষুদ্র পাঠশালা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পেছনে রয়েছে শতাব্দীর ইতিহাস। ঊনবিংশ শতাব্দীতে যাদের হাত ধরে এ প্রতিষ্ঠান যাত্রা শুরু করেছিল, তাদের অন্যতম বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী। তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে তিনি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর ধীরে ধীরে তা বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও কিশোরীলাল রায়ের কোনো স্মৃতিচিহ্নও রাখা হয়নি। এ বিষয়ে একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েও সাড়া পাননি কিশোরীলালের বংশধররা।
কিশোরীলালের নাতির ছেলে কালিশঙ্কর রায়। তার স্ত্রী ভারতী রায় চৌধুরী বলেন, দেশের শিক্ষা বিস্তারে নিঃস্বার্থে কিশোরীলাল জমি ও অর্থ দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে তার স্মৃতি সংরক্ষণ করার জন্য উপাচার্যের কাছে দাবি জানিয়েছি। একাধিকবার তার ছবি নিয়েও গিয়েছিলাম উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার দপ্তরের দেয়ালে টানানোর জন্য। কিন্তু তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা অর্থ সম্পদ চাই না। শুধু সম্মানটুকু চাই। 
জগন্নাথ কলেজের শতবর্ষ পূর্তিতে প্রকাশিত স্মরণিকার তথ্যমতে, ১৮৬৮ খ্রিষ্টাব্দে মানিকগঞ্জ জেলার সাঁটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী বাবার নামে পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় জগন্নাথ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দে এটি কলেজে রূপান্তরিত হয়। পরে কিশোরীলাল ১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১ মার্চ একটি ট্রাস্টবোর্ড গঠন করে কলেজের নামে জমি দেন। ওই বোর্ডের তিন সদস্যের মধ্যে একজন ছিলেন কিশোরীলাল। দুই বছর পর ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দের ৩ জুন কিশোরীলাল মারা গেলে আগস্টে নতুন ট্রাস্ট দলিল গঠন হয়। এরপর থেকেই পুরোপুরিভাবে জমি প্রতিষ্ঠানটির হয়ে যায়। সর্বশেষ ২০০৫ সালে আইন পাসের মাধ্যমে কলেজ থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রূপ পায়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৩৭টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউট রয়েছে। প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম বলেন, একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখন স্থাপন করা হয়, তখন নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। তবু যারা নিজেদের জায়গা ও অর্থ খরচ করে শিক্ষাব্যবস্থার বিস্তারে অবদান রাখেন, তাদের প্রতি আমাদের অগাধ শ্রদ্ধা। কিন্তু দেখা যায় আমরা তাদের জন্ম-মৃত্যুর দিনেও স্মরণ করতে পারি না। আজকের এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে কিশোরীলাল রায়ের অনেক ভূমিকা রয়েছে; কিন্তু তাকে স্মরণে রাখার মতো কোনো স্থাপনা নেই এখানে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আমরা অকৃতজ্ঞও বটে, তাদের মনে রাখিনি।
এ বিষয়ে উপাচার্য ড. ইমদাদুল হক বলেন, এটা তো এক থেকে দেড়শ বছর আগের কথা। আমি তো একা চাইলেই এটা করতে পারবো না, সিন্ডিকেটে পাস করতে হবে। আর কিছু করলেও তো ভালোভাবে করতে হবে, এজন্য সময়ের প্রয়োজন।

জনপ্রিয়