আগামী ১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ দিবসটি উদযাপন করতে হবে। দিবসটি উদযাপনে এদিন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকতে হবে। দিবসটি উদযাপনে বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা, শিশুদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বলা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রতি বছর ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়।দিবসটি উদযাপনে কর্মসূচি প্রণয়নে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভার এসব কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
ওই সভায় নেয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ছিলো,বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে বিষয়ে নির্দেশনা জারি করতে হবে।দিবসটি উদযাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে।
এছাড়া এদিন বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশনা পালন করতে হবে। আর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ ও এর আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি ও শিশু সংশ্লিষ্ট উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য পাঠাতে হবে।
এসব কর্মসূচির বিষয় জানিয়ে আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।আদেশটি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, এনটিআরসিএ, ব্যানবেইস, ইউজিসি, এনসিটিবিসহ সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।গতকাল উপসচিব নাসরীন সুলতানা স্বাক্ষরিত আদেশ এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অনুরোধ জানানো হয়েছে।