ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

কুমিল্লা নগরীতে ৬ লাখ মানুষের জন্য ৬টি গণশৌচাগার 

দেশবার্তা

ইয়াসমীন রীমা, কুমিল্লা

প্রকাশিত: ০০:০০, ২১ এপ্রিল ২০২৩

সর্বশেষ

কুমিল্লা নগরীতে ৬ লাখ মানুষের জন্য ৬টি গণশৌচাগার 

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের হিসাবে কুমিল্লা নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে জনসংখ্যা হলো ৬ লাখ। এই ৬ লাখ লোকের জন্য গণশৌচাগার রয়েছে মাত্র ৬টি। অর্থাৎ প্রতি লাখ মানুষের জন্য গণশৌচাগার একটি। তবে নগরীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে একটিও নেই। ফলে প্রতিদিন নগরীতে চলাচলকারি নগরবাসী ও নগরীর বাহির থেকে আসা হাজার হাজার মানুষজনকে নানা দূর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষ করে এ ক্ষেত্রে নারীদের দূর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। আর যে ৬টি গণশৌচাগার রয়েছে আছে, সেগুলোও অপরিচ্ছন্ন। নানা অব্যবস্থাপনায় সেগুলোর অবস্থায়ও চরম পর্যায়ে। গণশৌচাগারের স্বল্পতা, অপরিচ্ছন্নতা, ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকায় প্রতিদিন চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। গণশৌচাগারগুলোর বেশিভাগই দরজা নেই, ছিটকিনি নেই, বদনা নেই। কোনো কোনো বাথরুমে ময়লা-আবর্জনা ভরা। আবার কোনোটির কমোড ভাঙা। গণশৌচাগার নিয়ে নগরীতে সবচেয়ে বড় সমস্য হচ্ছে নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড় এলাকা। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারীদের চলাচল। এ এলাকায় কোনো পাবলিক টয়লেট না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় নগরীতে আসা-যাওয়া হাজারো মানুষের।
সারাদিনের ব্যস্ততা শেষে একটু অবসরের সময় কাটানোর জন্য অনেকে বিকেলের পর থেকেই নগরীর টাউন হল মাঠে আসেন। কিন্তু এ এলাকায় কোনো পাবলিক টয়লেট না থাকায়, টাউনহলের তিন পাশে যত্রতত্র স্থানে আগতদের প্রশ্রাব করতে দেখা যায়। কুমিল্লা মহানগরীর কেন্দ্রীয় মসজিদ কান্দিরপাড় জামে মসজিদের দিকে এবং শহীদ মিনারের দিকে ফিরে অনেকেই প্রকৃতির কাজটি করে। তাছাড়া টাউনহলের উত্তর ও পশ্চিম পাশে রয়েছে নগর মিলনায়তন ও কুমিল্লা অফিসার্স ক্লাব। সেখানেও একই কাজ করছে আগতরা। যদি এ এলাকায় পাবলিক টয়লেট থাকতো তাহলে নিশ্চয়ই যত্রতত্রভাবে এমন হতো না।
নগরীর রেল স্টেশন, ধর্মসাগর পাড়, চকবাজার, রাজগঞ্জ ও মোগলটুলিতে অবস্থান গণশৌচাগারগুলোকে স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব বলা হলেও সেগুলোতেও নেই স্যান্ডেল, পানি সরবরাহ, টয়লেট টিস্যু ও হ্যান্ডওয়াশ। মেরামতের অভাবে বিকল হয়ে রয়েছে পানি সরবরাহকৃত কলগুলোও।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ডা. নিলুফা পারভীন বলেন, সময় মত প্রাকৃতিক কাজ সম্পন্ন করতে না পারলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ ও নগরবাসী। তাই নগরীর প্রাণকেন্দ্রে গণশৌচাগার থাকা বেশ জরুরি। শহরে এসে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার না করতে পারায় স্বাস্থ্যগত ঝুকিঁতে পড়ছে শ্রম ও পেশাজীবি নারীরা।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত বলেন, শহরে পর্যাপ্ত পরিমাণ গণশৌচাগার হবে। আমরা গণশৌচাগার জন্য নতুন টেন্ডার করবো। এছাড়া নগরীর কান্দিরপাড় এলাকা পুলিশ বক্সের সাথে একটি গণশৌচাগার করা হবে। তবে গণশৌচাগার করার জন্য বেশ কয়েকটি জায়গা দেখছি। আশা করি এ সমস্যা সমাধান হবে।

জনপ্রিয়