আগামী শুক্রবার (৫ মে) থেকে শুরু হচ্ছে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা। এদিন ও পরদিন শনিবার (৬ মে) এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ দুই দিন প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ১ লাখ ৫১ হাজার প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেবেন। পরীক্ষা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ করছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। পরীক্ষার খাতাসহ অনুসাঙ্গিক কাগজপত্র বিভাগীয় শহরে ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আগামী শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত সারাদেশের ৪৫টি কেন্দ্রে স্কুল পর্যায় ও স্কুল পর্যায়-২ এর লিখিত পরীক্ষা হবে। এ পরীক্ষায় অংশ নেবেন এ দুই পর্যায়ের প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ ৭৮ হাজারের বেশি প্রার্থী। আর আগামী শনিবার ৪২টি কেন্দ্রে কলেজ পর্যায়ের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ পর্যায়ের প্রিলিতে উত্তীর্ণ ৭৩ হাজার ১৯৩ জন প্রার্থীর এদিনের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা আছে।
জানতে চাইলে এনটিআরসিএ সচিব মো. ওবায়দুর রহমান দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি ঈদের আগেই শেষ করা হয়েছে। আনুসঙ্গিক মালামাল বিভাগীয় শহরগুলোতে পাঠানো হয়েছে। মোট ৪৫টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছে। পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি ভালো।
তিনি আরো জানান, পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। প্রার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে তা ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। প্রথম দিনে স্কুল ও স্কুল পর্যায়-২ এর পরীক্ষা আয়োজন করা হবে বিভাগীয় শহরগুলোর ৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। আর কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা আয়োজন করা হবে ৪২টি কেন্দ্রে। দুই দিনের পরীক্ষায় কিছু কমন কেন্দ্র আছে। সর্বমোট ৪৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা আয়োজন করা হবে।
জানা গেছে, শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের কালো কালির বলপয়েন্ট কলম নিয়ে আসতে হবে। কেন্দ্রে মুঠোফোন নিষিদ্ধ। পরীক্ষায় কেউ অসদুপায় অবলম্বন করলে তাকে নীরব বহিষ্কার করা হবে।
