রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ‘কোটিপতি ১৫ কর্মচারি’র অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ৫ মার্চের মধ্যে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাজউককে অগ্রগতি জমা দিতে বলেছে আদালত।
একইসঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুল জারি করেছে। এ বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ৫ এপ্রিলের মধ্যে দুদক ও রাজউককে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
একটি দৈনিকে গতকাল মঙ্গলবার ‘রাজউক চেরাগে বাড়ি গাড়ি প্লট দোকান’ শীর্ষক প্রতিবেদন ছাপা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কেউ উচ্চমান সহকারী, কেউ নিম্নমান সহকারী, কেউবা বেঞ্চ সহকারী। তবে এক জায়গায় নিখুঁত মিল। সবাই কোটিপতি। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেণির ২০-৩০ হাজার টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারী হলেও অনেকের রাজধানীতে রয়েছে এক বা একাধিক বহুতল বাড়ি, আধুনিক গাড়ি। অনেকের আছে প্লট, ফ্ল্যাট, দোকানপাট।’
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজউকের কয়েকজন কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা আছে। তবে তদন্তের গতি ধীর। অধিকাংশকে আইন স্পর্শ করছে না।