ঝালকাঠিতে প্রায় সবগুলো স্লুইস গেট (জলকপাট) অকেজো হওয়ায় তা কোনো কাজে আসছে না। বরং স্লুইস গেটের ফাঁদে পড়ে নাব্যতা হারিয়ে খালগুলো মরে যাচ্ছে। ফলে পানির অভাবে সেচ প্রকল্প ব্যাহত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক।
ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নদী ও খালের পানির উৎস থেকে কৃষির সেচ কাজের জোগান মেটাতে আশির দশকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল সেচ প্রকল্পের আওতায় ঝালকাঠি জেলার চারটি উপজেলার খালগুলোতে স্লুইস গেট নির্মাণ করন। ১৯৮৬ থেকে ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন খালে ৩শ’টি স্লুইস গেট নির্মাণ করা হয়। তার মধ্যে বর্তমানে ২৮৪টিই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। রক্ষণাবেক্ষণ না থাকাসহ নানা সমস্যায় ভেঙে পড়েছে বেশিভাগ স্লুইস গেটের অবকাঠামো।
এদিকে কৃষকদের অভিযোগ, স্লুইস গেট কোনো কাজেই আসে না। বরং পানির চাপের সময় জলাবদ্ধতা আর শুষ্ক মৌসুমে পানির চরম সংকট দেখা দেয়। স্রোতের কারণে খালের পাড় জায়গায় জায়গায় ভেঙ্গে যাচ্ছে। পানির নিয়ন্ত্রণ না থাকায় এ অবস্থা হচ্ছে। আর নাব্যতা হারিয়ে ছোট ছোট খালগুলোর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। অল্প কিছু জায়গায় প্রয়োজন থাকলেও বেশির ভাগ স্থানে অপ্রয়োজনেই খালের ওপর স্লুইস গেট নির্মাণে পলি জমে নাব্যতা হারিয়ে খালগুলো মরে যাচ্ছে। বর্ষাকাল ছাড়া বাকি সময় এসব খাল দিয়ে নৌকা চলতে পারে না। এই অকেজো স্লুইস গেটগুলোর অপসারণ জরুরি।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, অকেজো এসব স্লুইস গেটর ব্যাপারে বরিশাল সেচ প্রকল্পের আওতায় একটি সমীক্ষার কাজ চলমান রয়েছে। তা সম্পন্ন হলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।