ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন 

বিএনপিপন্থিদের বিরুদ্ধে ভোটের আগের রাতে ব্যালট ছেঁড়ার অভিযোগ

জাতীয়

প্রকাশিত: ১৫:১৯, ১৫ মার্চ ২০২৩

সর্বশেষ

বিএনপিপন্থিদের বিরুদ্ধে ভোটের আগের রাতে ব্যালট ছেঁড়ার অভিযোগ

জমে উঠেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোশিয়েশন) নির্বাচন। ১৫ ও ১৬ মার্চ দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীরা শেষ সময়ের প্রচারণা চালিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্ট চত্বর ও আইনজীবী সমিতি ভবন এলাকা আওয়ামীপন্থি সাদা প্যানেল ও বিএনপিপন্থি নীল প্যানেলের প্রার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে। ভোট ঘিরে আইন অঙ্গনের সবার মধ্যে বিরাজ করছে নির্বাচনী আবহ।

তবে ভোটের আগের দিন মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান বিচারপতি মো. মনসুরুল হক চৌধুরীর পদত্যাগের পর পরিবেশ ভিন্ন রূপ নেয়। দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় তারা পাল্টাপাল্টি নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি গঠন করেন। ওইদিনই রাত আটটার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির তৃতীয় তলায় সেমিনার কক্ষে বক্সে রাখা ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিরুদ্ধে। যদিও এ নিয়ে নীল প্যানেলের প্রার্থী-সমর্থকদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এবারের নির্বাচনে সাদা প্যানেল থেকে সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আব্দুন নূর দুলাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দুজনই সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির যথাক্রমে সভাপতি ও সম্পাদক। অন্যদিকে নীল প্যানেল থেকে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর আগে তিনি সমিতির বেশ কয়েকবারের সম্পাদক ছিলেন। এ প্যানেল থেকে সম্পাদক পদে সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ভোটে লড়ছেন।

নির্বাচনে ১৪টি পদের বিপরীতে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে সরকার সমর্থক সাদা প্যানেল এবং বিএনপি জামায়াত সমর্থক নীল প্যানেল। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে একজন, সহ-সভাপতি পদে ১ জন এবং সদস্য পদের জন্য একজনসহ মোট ৩১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থী ও প্যানেলের পক্ষে ভোটারদের কাছে লিফলেট বিতরণ, মোবাইলে কল ও এসএমএস প্রদান এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জমজমাট প্রচারণায় একাকার অবস্থা বিরাজ করেছে।

কোর্টের আইনজীবী সমিতিতে প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনা করার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পক্ষে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেন উভয় প্যানেলের আইনজীবীরা। এরই মধ্যে সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি-জামায়াত তাদের প্যানেলের প্রার্থীদের পরিচিতি অনুষ্ঠান সম্পন্ন করেছে। সেখানে আইনজীবীদের কাছে নিজেদের দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য ভোট চাওয়া হয়েছে। এছাড়া লাইব্রেরি, হলরুম ও আইনজীবীদের চেম্বারে গিয়েও ভোট প্রার্থনা ও প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।

অন্যান্য বছরের মতো এবারও নির্বাচনে মূল লড়াই হবে সরকার সমর্থিত বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও সরকারবিরোধী বিএনপি-জামায়াত সমর্থক জাতীয়তাবাদী ঐক্য জোটের মধ্যে। প্রার্থী এবং সমর্থক আইনজীবীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এবার সরকার সমর্থিত (বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ও তাদের মিত্ররা) প্রার্থীরা মরিয়া সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে নিজ দলের অবস্থান ধরে রাখতে। আর হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে আপ্রাণ চেষ্টায় বিএনপি ও জামায়াতের (নীল প্যানেলের) প্রার্থীরা।

বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ দলীয় আইনজীবীদের নিয়ে মঙ্গলবার সভা ও বৈঠক করেছেন। সেখানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক ও সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেযর ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও সিনিয়র আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক থেকে ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজের মাধ্যমে ভোটের ফলাফল অনুকূলে আনার আহ্বান জানিয়েছেন। কার প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জেলে থাকায় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করার পর তাদের প্রার্থিতা ঠিক করেছেন দলটি। যদিও বিএনপির পক্ষ থেকে ঘোষিত প্যানেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য চূড়ান্ত করা হয়। গত দুই বছর বিএনপির বিদ্রোহী প্যানেল ঘোষণা করা হলেও এবার অন্য কোনো প্যানেল মনোনয়ন দাখিল করেনি।

২০২৩-২৪ খ্রিষ্টাব্দের জন্য ১৪ সদস্যের কার্যকরী কমিটি গঠনের এ নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী উভয় প্যানেল। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা বলেন, এবারের নির্বাচনে অতীতের যে কোনো বারের চেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে তারা আশাবাদী। অন্যদিকে জয়ের ব্যাপারে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলও সমানভাবে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে আওয়ামী সমর্থক আইনজীবী একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি একটি সেবামূলক সংগঠন। সে কারণে সাধারণ আইনজীবীরা এবারের নির্বাচনে সমন্বয় পরিষদ সমর্থিত প্যানেলকে নির্বাচিত করে সমিতির হৃতগৌরব ফিরিয়ে আনবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

গত নির্বাচনে সর্বোচ্চ পদ সভাপতি ও সম্পাদকসহ গুরুত্বপূর্ণ ৭টি পদে আওয়ামীলীগ সমর্থক (সাদা প্যানেল) এবং ট্রেজারারসহ অন্যান্য সাতটি পদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত জাতীয়তাবাদী ঐক্য (নীল প্যানেল) জয়লাভ করে।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার) সুপারিনটেনডেন্ট (তত্ত্বাবধায়ক) নিমেষ চন্দ্র জানান, এবার মোট ৬ হাজার ২১২ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্যানেল ছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে সভাপতি পদে একজন, সহ-সভাপতি পদে একজন এবং সদস্য পদে একজন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। এ ওয়াই মশিহুজ্জামানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা এরই মধ্যে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করেন আইনজীবীরা। প্রার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচিতি, বারের অতীতের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, অবদান এবং নির্বাচনে জয়ী হলে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায় প্রার্থী ও সমর্থকদের। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করতে নানা লেখা ও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। সর্বত্রই যেন উৎসবমুখর পরিবেশ। যদিও নির্বাচনী প্রচারের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

সাদ ও নীল প্যানেলের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অ্যাডভোকেট মো. ইউনুছ আলী আকন্দ, সহ-সভাপতি পদে একজন ও সদস্য পদে একজন।

মোমতাজ উদ্দিন ফকির বলেন, আইনজীবীদের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছি। আশা করি এবারের নির্বাচনে বিপুল ভোটে আমরা জয়ী হবো। জয়ী হলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীদের সব সমস্যা সমাধান করা হবে। আইনজীবীদের ২০ তলা ভবন নির্মাণসহ অন্যান্য সহযোগিতার জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ একনেকে রয়েছে বলে জানান তিনি।

মোমতাজ উদ্দিন ফকির সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (১৯৯৪--১৯৯৫) কার্যকরী কমিটির সহ- সম্পাদক ও (২০০১-২০০২) কার্যকরী কমিটির সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে আইনজীবীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ ৪ জুলাই থেকে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ অক্টোবর খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির একজন অন্যতম সদস্য। পেশাগত জীবনে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য জরুরি আইন ভঙ্গ করার কারণে আইনজীবীদের মিছিল হতে ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ নভেম্বর গ্রেফতার হয়ে বিনা বিচারে দীর্ঘদিন কারাবরণ করেন।

অন্যদিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার বলেন, গত বছরের মতো ভোট ছিনিয়ে না নিলে এবং সুষ্ঠু ভোট হলে আইনজীবীরা আমাদের পূর্ণ প্যানেলকে বিজয়ী করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।

নীল প্যানেল থেকে সভাপতি প্রার্থী হলেন ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সদস্য, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব। সুপ্রিম কোর্ট বারের সাতবারের সম্পাদক ব্যারিস্টার খোকন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক আইনজীবী জানান, এবারের নির্বাচনে কোন প্যানেল বিজয়ী হবে তা বলা কঠিন। কেউ যেন কারোর চেয়ে কম নয়, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক পদে বর্তমান সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাদা প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা, ট্রেজারার পদে মাসুদ আলম চৌধুরী, সহ-সম্পাদক পদে নুরে আলম উজ্জ্বল ও হারুনুর রশিদ।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে মনোনীত সাত প্রার্থী হলেন- মো. সাফায়েত হোসেন সজীব, মহিউদ্দিন রুদ্র, শফিক রায়হান শাওন, সুভাষ চন্দ্র দাস, নাজমুল হোসেন স্বপন, মো. দেলোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান রানা।

নীল প্যানেলের সভাপতি পদে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সম্পাদক পদে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা হলেন- সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির মঞ্জু, অ্যাডভোকেট সরকার তাহমিনা সন্ধ্যা, সহ-সম্পাদক পদে ব্যারিস্টার মাহফুজুর রহমান মিলন, অ্যাডভোকেট মো. আব্দুল করিম, কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে অ্যাডভোকেট আশিকুজ্জামান নজরুল, অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার, অ্যাডভোকেট ফজলে এলাহি অভি, ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ ও অ্যাডভোকেট রাসেল আহমেদ।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২৪ সেশনের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। সমিতির সম্পাদক মো. আবদুন নূর দুলাল এ তফসিল ঘোষণা করেন।

কার্যকরী কমিটির সভাপতি পদে একটি, সহ-সভাপতি পদে দুটি, সম্পাদক পদে একটি, কোষাধ্যক্ষ পদে একটি, সহ-সম্পাদক পদে দুটি এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য পদে সাতটি পদসহ মোট ১৪টি পদে নির্বাচন হবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ব্যালট পেপার ছেঁড়ার অভিযোগ:
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৩-২৪ মেয়াদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান বিচারপতি মো. মনসুরুল হক চৌধুরী ভোটের আগের দিন দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এরপরই আইনজীবীদের শীর্ষ এ সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। ভোটগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। তারা সুপ্রিম কোর্ট বারের দ্বিতীয় তলায় পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও স্লোগান দেন। এ অবস্থা চলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। রাত আটটার দিকে ভবনের তৃতীয় তলায় বারের সেমিনার কক্ষে রাখা ব্যালট পেপার বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ ওঠে।

ওইদিন দুপুরে ও সন্ধ্যায় সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষের সামনে নীল প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার খোকন ও সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার কাজলের নেতৃত্বে আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্ট বারে সুষ্ঠু নির্বাচন ও ভোটগ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।

একই সময়ে সাদা প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মোমতাজ উদ্দিন ও সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর দুলালের সমর্থনে আইনজীবীরা সেখানে অবস্থান নিয়ে পাল্টা স্লোগান দেন। এতে সুপ্রিম কোর্ট বারের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। দিনভর দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা বিরাজ করে।

জনপ্রিয়