ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আর্কাইভস ই পেপার

nogod
nogod
bkash
bkash
uttoron
uttoron
Rocket
Rocket
nogod
nogod
bkash
bkash

করোনায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ৪ ঘণ্টা কমেছে

শিক্ষা

আমাদের বার্তা প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৫৯, ১৮ মার্চ ২০২৩

সর্বশেষ

করোনায় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ৪ ঘণ্টা কমেছে

করোনা মহামারীর আগে একজন শিক্ষার্থীর দৈনিক গড় পড়াশোনা ছিল ৬ ঘণ্টা। করোনার সময় স্কুল বন্ধ থাকায় একজন শিক্ষার্থীর এই পড়ার হার গড়ে ৪ ঘণ্টা কমেছে। অর্থাৎ স্কুল বন্ধ থাকায় একজন শিক্ষার্থী গড়ে ২ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে। তবে এ সময় ঝরে পড়াদের হার বেশি দেখা গেছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে। এ সময় প্রাথমিকের ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং মাধ্যমিকের ৫ শতাংশ ঝরে পড়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ভবনের অডিটোরিয়ামে শিশু শিক্ষা জরিপ-২০২১ এর রিপোর্ট প্রকাশে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন। সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিউর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত ও সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের স্পিয়ার শাখার প্রধান স্টানলি গোয়াভুয়ার। জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড হেলথ উইংয়ের পরিচালক মো. মাসুদ আলম।

মাসুদ আলম বলেন, আন্তর্জাতিক মানের জরিপ পদ্ধতি ও প্রশ্নপত্র অনুসরণ করে সারা দেশে মোট ৯ হাজার খানায় ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২১ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জানুয়ারি সময়ে জরিপটি পরিচালিত হয়। জরিপ অনুযায়ী, করোনার প্রভাবে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা অবস্থায় পরিচালিত বিভিন্ন দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অনলাইন, টেলিভিশন ও বেতারে মোট ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রমে পাঠ নিয়েছে।

তাছাড়া কভিডকালে স্কুল বন্ধ থাকার সময় ২০ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষক ফোনে শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিয়েছেন, ২০ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দিয়েছেন। ৭১ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ও অ্যাসাইনমেন্ট শিট দিয়েছেন। আর ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের কোনো খোঁজই নেননি।

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে উন্মুক্ত আলোচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. দীপংকর রায়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, শিক্ষাবিদ, পেশাজীবীসহ বিভিন্ন অংশীজন ও প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয়