রাজবাড়ীর পাংশায় স্কুলশিক্ষক মিজানুর রহমান মুকুকে (৪৭) গুলি করে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে হত্যায় জড়িত ৫ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি একনলা বন্দুক, দুই পিস কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলেছে, ছিনতাইয়ের সময় টাকা না পেয়ে শিক্ষককে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের হাটবনগ্রামের কলম শেখের ছেলে শাকিবুল হাসান (১৬), আনন্দ সরকারের ছেলে আকাশ সরকার (১৯), ইন্দ্রজিৎ সরকারের ছেলে রামপ্রাসাদ সরকার, অজিৎ সরকারের ছেলে বিজয় সরকার (১৮) এবং অরবিন্দু সরকারের ছেলে বাদল সরকার (১৮)।
নিহত মিজানুর রহমান মুকু পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের বসাকুষ্টিয়া গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে। তিনি পাংশা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
গত মঙ্গলবার মিজানুর রহমান মুকুর স্ত্রী শাহানারা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনকে আসামি করে পাংশা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, মিজানুর রহমান পাংশা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও হোসেনডাঙ্গা বাজারে সার ব্যবসায়ী ছিলেন। গত রোববার (৩০ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে তার সারের দোকানের হালখাতা শেষ করে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। পথিমধ্যে বলাই বিশ্বাসের বাড়ির সামনে রাস্তা ভাঙা থাকায় মোটরসাইকেলের গতি কমলে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকা ৮-১০ জন ছিনতাইকারী তার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে গতিরোধ করে। পরে ছিনতাইকারীরা তার কাছে টাকা না পেলে বিতর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে ছিনতাইকারীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মিজানুরের মাথায় গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকেই গ্রেফতার করে।