ডিমলায় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের দখলে এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্র। তারা ওই কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয়া দুই শতাধিক শিক্ষাথীর কাছে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিনিময়ে মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ের নৈর্ব্যত্তিক ও রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর পাঠানো হয়। বিষয় জানতে পেরে উপজেলা প্রশাসন২ মে খগাখড়িবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব মোফাক্কেরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে নেয়। দায়িত্ব দেয়া হয় সহকারী প্রোগ্রামার রেদওয়ানুল রহমানকে।
জানা যায়, ৯ মে গণিত পরীক্ষায় নকল করার সময় কেন্দ্র সচিব তিনটি মোবাইল ডিভাইস জব্দ করেন। ওই ডিভাইসে দেখা যায়- পরীক্ষা শুরুর ৫ মিনিট পরে নিসাত নামে এক পরীক্ষার্থী নৈর্ব্যত্তিক প্রশ্নটি ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে আব্দুর রহমানকে সরবরাহ করেন। পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট পর রহমান শতাধিক শিক্ষার্থীকে উত্তর পাঠিয়ে দেয়। রচনামূলক প্রশ্ন দেয়ার পর একইভাবে তা রহমানের কাছে পাঠানো হয়। রহমান কয়েকবারে প্রশ্নগুলোর সমাধান করে নিশাতসহ শতাধিক পরীক্ষর্থীকে সরবরাহ করেন। প্রত্যেক শিক্ষাথীর সঙ্গে ৭-৮ হাজার টাকা চুক্তির ভিত্তিতে রহমান নকল সরবরাহ করতো মর্মে পরীক্ষার্থীরা স্বীকার করেন। রহমান মধ্যছাতনাই গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে, বর্তমানে সে আত্মগোপনে রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন আব্দুর রহমানের সঙ্গে ওই কেন্দ্র থেকে প্রত্যাহার হওয়া সচিব, কয়েকজন প্রধান শিক্ষকসহ একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছে। একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আব্দুর রহমানকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। আর নকল সরবরাহের ফেসবুক গ্রুপ ‘এসো হে বন্ধু’ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, আব্দুর রহমানসহ একটি সিন্ডিকেট চলতি বছর ডিভাইসে নকল সরবরাহের তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হবে।