নির্বাচনের পুরো ফলাফল বাতিল সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি) । যদিও প্রাথমিক সংশোধনী প্রস্তাবে ইসি পুরো আসনের নির্বাচন বা ফল বাতিলের ক্ষমতা চেয়েছিলো। তবে অনিয়ম হলে কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করতে পারবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার এমন বিধান রেখে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তাব অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ করলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা যাবে। আপিল করা যাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার যে কোন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে।
মন্ত্রিসভা-বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম ত্রৈমাসিক (জানুয়ারি-মার্চ) প্রতিবেদন উল্লেখ করে মো. মাহবুব হোসেন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৬৪ দশমিক ৮১ শতাংশ।
তিনি জানান, সরকারের ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রান্তিকে (১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত) মন্ত্রিসভার ৬টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে গৃহীত সিদ্ধান্ত ৫৪টি। বাস্তবায়িত সিদ্ধান্ত ৩৫টি (৬৪.৮১ শতাংশ)। বাস্তবায়নাধীন সিদ্ধান্ত ১৯টি (৩৫.১৯ শতাংশ)।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও জানান, এ সময়ে অনুমোদিত নীতি/কর্মকৌশল ২টি। অনুমোদিত চুক্তি/প্রটোকল ২টি। সংসদে পাস হওয়া আইন ১০টি।